পঞ্চগড়ে টিসিবি’র পণ্য চাহিদা প্রচুর বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু ,পঞ্চগড়ঃ
 

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেশি। তাই টিসিবি’র পন্য কিনতে নিম্ম আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। রমজানের আগেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম চড়া । তাই মানুষ ছুটছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি’র) পণ্যবাহি গাড়ির বহরে।তবে অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতাসাধারন। 

রমজানের আগে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি। এরপর টানা দুই সপ্তাহের লকডাউনে বেশ সমস্যায় পড়েছেন নিম্মআয়ের মানুষ এবং মধ্যবিত্তরা। খবর রাখছেন কোথায় টিসিবি ’রপন্য দিচ্ছে। বাজারে সোয়াবিন,চিনি,ডাল সহ প্রায় পণ্যের দাম অনেকটাই চড়া। কেজিতে ২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পার্থক্য রয়েছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন সংসার চালাতে গিয়ে। তারপরে আবার করোনা প্রকোপ সাথে লকডাউন। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্তরা বেশ কষ্টে আছেন।  

টিসিবি দিচ্ছে সোয়াবিন ,চিনি, মুসুর ডাল, খেজুর, পেয়াঁজ। সব গুলি পণ্যের চাহিদা সমান। তাই নিম্ম আয়ের মানুষের বাজারের চেয়ে একটু কম দামে এই পণ্য পেয়ে খুশি। বৃহষ্পতিবার পঞ্চগড় শহরের একটি টিসিবি’র পণ্যবাহি গাড়িতে দেখা গেছে ভিড়। স্বাস্থ্য বিধি না থাকলেও কম দামে পণ্য পাবেন এতেই তারা খুশি। ক্রেতা রমজান আলী বলেন ‘ কি করবো ‘ এখানে অনেকটাই কম দাম। তাই টিসিবি’র পন্য নিতে এসেছি।

পঞ্চগড় জেলায় টিসিবি’র মোট ডিলার রয়েছে ১১ জন। বোদা উপজেলা ছাড়া সব উপজেলাতেই রয়েছে টিসিবি’র ডিলার। তেতুঁলিয়ায় সদ্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন ডিলার।এর আগে সদর উপজেলার টিসিবি’র ডিলার তেতুঁলিয়া উপজেলায় পন্য বিক্রি করতো।  জানা যায় ‘ পঞ্চগড় সদরে ২ জন, দেবীগঞ্জে ৪ জন আটোয়ারীতে ৪ জন ও তেতুঁলিয়ায় ১ জন টিসিবি’র ডিলার রয়েছে।

 এ বিষয়ে টিসিবি’র পঞ্চগড় সদর ডিলার কায়সারুল হামিদ (সজীব) প্রধান জানান ‘ টিসিবি’র পন্যের প্রচুর চাহিদা। তবে আমি নিয়ম অনুযায়ি সপ্তাহে দুই দিন দিতে পারি। তাও আবার বরাদ্দ মাত্র ৩০০ জনের। তিনি বলেন ‘প্রতিদিন দিলেও চাহিদদা ফুরাবে না।তিনি বলেন‘ টিসিবি’র অনুমতি থাকলে একজন ডিলার সব উপজেলাতেই পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ