নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সৈয়দপুরে ঈদকে সামনে রেখে চলছে অনুমোদনহীন লাচ্ছা সেমাই তৈরির মহোৎসব। আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা ওসব কারখানায় অস্বাস্থকর পরিবেশে বানানো লাচ্ছা সেমাই জনস্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক হুমকি বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থসচেতন ব্যক্তিবর্গ। বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই এসব কারখানা প্রকাশ্য চললেও নজরদারী নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের।
সূত্র জানায়, প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে সৈয়দপুরে রাতারাতি গড়ে ওঠে একাধিক লাচ্ছা সেমাই কারখানা। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে বানানো লাচ্ছা কম মূল্যে বাজারে ছেড়ে নিজেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা এবং ঝুঁকির মুখে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। নুর লাচ্ছাসহ নামে-বেনামে একাধিক লাচ্ছা সেমাই কারখানা গড়ে ওঠেছে শহর ও গ্রামাঞ্চলে। প্যাকেটের গায়ে থাকছে না উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের অদূরে কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ মতির মোড় এলাকার দু’শ গজ উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে নুর লা”ছা সেমাই কারখানা। ওই কারখানার ভিতরে দেখা যায়, এককোণে ফেলে রাখা হয়েছে আবর্জনা। ভনভন করছে মাছি। তার পাশেই তা করে রাখা হয়েছে লাচ্ছার খামির। ওই খামিরের ওপর দিয়ে চলাচল করছে তেলাপোকা। শ্রমিকদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও পায়ে প্লাস্টিক গামবুট থাকার বিধান থাকলেও এসবের কোন বালাই নেই। এছাড়া উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের খোলা পাম ওয়েল, ময়দা, চিনি ও ডালডা।
বিএসটিআই এর অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম জানান, এখনো অনুমোদন দেয়নি। তারা স্যাম্পল নিয়ে গেছে। পরে ওই কারখানার মালিক এসে বলেন, আমাদের সম্পর্কে আপনাদের যা লেখার আছে, লেখেন। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই আমরা লাচ্ছা সেমাই বানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নীলফামারীর সহকারি উপ-পরিচালক বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। আপনারা স্থানীয় ইউএনও অথবা এসিল্যান্ডের এর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ