নীলফামারী সৈয়দপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে তৎপর পৌরসভা বাসীর সাধুবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সৈয়দপুর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে তৎপর হয়েছে পৌরসভা। বিগত বছরগুলোতে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এবার বর্ষা মৌসুমের আগেই মাস্টার ড্রেনসহ শহরের প্রতিটি ড্রেন পরিস্কার করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তি লাঘবে সুদূর প্রসারী এ কর্মকান্ডে নবনির্বাচিত মেয়র রাফিকা আকতার জাহানসহ পৌর পরিষদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পৌরবাসী।

সূত্র জানায়, পৌর এলাকায় ছোট-বড় মিলে প্রায় দুই সহস্রাধিক ড্রেন রয়েছে। পাড়া-মহল্লার ছোটড্রেনগুলোর ময়লা-আবর্জনা মাস্টার ড্রেন হয়ে শহরের বাইরে চলে যায়। এজন্য পৌর পরি”ছন্নকর্মীরা প্রতিদিনই ওয়ার্ডভিত্তিক ড্রেন পরিস্কার করে থাকেন। কিন্তু গৃহস্থালির পানি, রাস্তা-ঘাটের ময়লা-আবর্জনা, গাছপালার লতা-পাতা ইত্যাদি কারণে স্লাবের ভিতর ময়লার পানি জমে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে বর্ষাকালে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার। এতে ভোগান্তির শিকার হন বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লীসহ সাধারণ পথচারীরা।

বিগত কয়েক বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে এবার বর্ষা মৌসুম আসার আগেই মাঠে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। বিরামহীন চলছে ড্রেনের ময়লা অপসারণ কাজ। ব্যবহার করা হচ্ছে স্কেভেটরসহ পৌরসভার অন্যান্য যানবাহন। শহরের প্রধান প্রধান সড়কের দু’পাশের ড্রেন, মাস্টার ড্রেন ও পাড়া-মহল্লার সব ড্রেন পরিস্কারের কাজ চলছে জোরেশোরে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থারর আগাম সংস্কার কাজে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী। তাদের মতে, নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নগরবাসী স্বাস্থকর পরিবেশে বসবাস করতে পারবে।

১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের কাজটি ধারাবাহিক একটি কাজ। তবে এবার বর্ষার আগেই শুরু করা হয়েছে যাতে পৌরবাসী ভোগান্তিতে না পড়েন। তবে তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করে বলেন, স্বাস্থকর পরিবেশ বজায় রাখতে পৌর পরিষদ ও পৌরবাসীর সমন্বয় দরকার। তিনি আরও বলেন, এখনো অনেকে বাসা-বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশন লাইন ড্রেনে ছেড়েছেন, এটা ঠিক না। এ মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। স্বাস্থকর পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা দরকার।

নব নির্বাচিত পৌরমেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ড্রেনগুলো সচল থাকলে, শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে না। পৌরবাসী বিগত বছরের মতো আর ভোগান্তিতে পড়বে না। গৃহস্থালির পানি ছাড়া পয়ঃপ্রণালী, ময়লা-আবর্জনা, মাটি-বালু ড্রেনে না ফেলার অনুরোধ জানান তিনি। এ শহরকে বসবাসযোগ্য আদর্শ শহরে পরিণত করতে হলে পৌর পরিষদ একা নয়, সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ