নীলফামারীতে ন্যায্যমূলে মাছ বিক্রি মৎস্য অধিদপ্তরের


আল- আমিন,  নীলফামারীঃ 

সারা দেশের ন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নীলফামারীতে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমান ট্রাকসেলে মাছ বিক্রি করছেনস্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর। করোনা প্রতিরোধে প্রাণিজ খাবারের বিকল্প নেই।তাই রমজান ও লকডাউনে চলবে এই কার্যক্রম।

জেলার ছয় উপজেলার মাছ চাষিদের কাছ থেকেমাছ ক্রয় করে বিভিন্ন হাটে বাজারে এসব মাছ সরবারহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, লকডাউনে রেণু ও পোনাউৎপাদন, নার্সারিচাষিদের সফলভাবে মাছউৎপাদনও বিক্রয় নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। 

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন উপজেলায়পণ্য পরিবহনসংশ্লিষ্টষ্টিকারলাগিয়েমাছ বিক্রি, পোনা ওরেণু সরবারহ অব্যাহতরেখেছে খামারীরা। প্রান্তিকচাষিদের সাথে খুচরা বিক্রেতাদের যোগসূত্র স্থাপনেরমাধ্যমে ভ্রাম্যমাণমাছবিক্রয়ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। লকডাউনেরপ্রাণিজ চাহিদা মিঠাতে জনগনস্বল্প মূল্যেমাছকিনে খেতেপারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়। 

সূত্র জানায়, গত ১১ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্তগড়ে ৫০ জন ভ্রাম্যমানমাছ বিক্রেতাপ্রতিজন ৩০-৪০ কেজিবিভিন্ন জাতেরমাছহাটে বাজারে বিক্রয়করেছেন। এরমধ্যে দেশি-শিং, মাগুর, গুলশা, টেংরা ও রুইজাতীয়মাছসহপ্রায় ২৫ মে.টনমাছ বিক্রয়করেছেন। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ পর্যন্ত উপজেলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে এই কার্যক্রম চলছে।এতে জেলা ও উপজেলাপর্যায়েরকর্মকর্তা, কর্মচারীরানিয়মিতকাজকরেযাচ্ছে। 

সদরউপজেলারসাফানাহ্যাচারিরসত্বাধিকারী মো. সোহেলপারভেজজানান, এই মৌসুমেএখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ কেজিকার্প জাতীয়মাছের রেণু উৎপাদনহয়েছে। তা মৎস্যজীবি ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ট্রাকসেলে ন্যায্যমূলে বিক্রি করা হচ্ছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ সহজে রেনু ও পোনা সংগ্রহ করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, লকডাউনেও এবার রেনু ও পোনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

অপর দিকে, ডিমলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিমা আকতার জানান, লকডাউনে কর্মহীন মানুষ ন্যায্যমূল্যে এসব মাছ কিনে খেতে পারেন, সে জন্যপ্রকারভেদে১৪০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রমজান উপলক্ষে মাসব্যপি চলবে এই কার্যক্রম।

জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলে মাছ বিক্রি করে গত ১৯দিনে প্রায়৪২লক্ষ ৫০হাজার টাকার মাছ বিক্রয় করা হয়েছে। এই কার্যক্রম পুরো রমজান মাসব্যাপি চলবে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব মাছ ক্রয় করতে পারবে।কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় রোগপ্রতিরোধেসাধারন জনগণকে বেশিকরেমাছখাওয়ারপরামর্শ দেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ