ডিমলায় ডালিয়া তিস্তা ক্যানেলের গাছ কাটার মামলা করায় রাদীকে প্রাণনাশের হুমকি


আব্দুল মালেক বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ডালিয়া নতুন বাজার খামাতীপাড়ায় তিস্তা ক্যানেলের বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে লাঞ্চিত হয়েছে, ডালিয়া পওর উপ-বিভাগ-০১ এর মালী মর্জিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী ছমির উদ্দিন। আহত হয়েছে তাঁর দুই মেয়ে শেলিনা আক্তার ও ফেরদৌসি বেগম। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে কানে থাকা স্বর্ণের একজোড়া রিং ও গলায় থাকা স্বর্ণের একটি ইংলিশ চেইন, যার আনুমানিক মুল্য ৩৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (০১লা এপ্রিল) দুপুরে খামাতীপাড়ায় ঘটেছে। এঘটনায় গত ০৯ই এপ্রিল মর্জিনা খাতুনের স্বামী ছমির উদ্দিন বাদী হয়ে ডিমলা থানায় পাঁচজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। 

আর এই মামলা করার কারনে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্ত আসামীরা। এমনকি নাম পরিচয়হীন হলুদ সাংবাদিক দ্বারাও হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ বাদী এবং তাঁর পরিবারের । অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, ডালিয়া পূর্ণেরঝাড় এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মশিয়ার রহমান(৪৫), মৃত. কছির মামুদের ছেলে ফজলুল হক(৬৫), ডালিয়া শৌলমারী পাড়ার মনছুর আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান(৪০), চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত. ঝড়ু মামুদের ছেলে তফিজ উদ্দিন(৫৫) ও ০১নং আসামী মশিয়ার রহমানের স্ত্রী রোজিনা বেগম(৪০)।

বাদীর মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ০১লা এপ্রিল দুপুরে ডালিয়া খামাতীপাড়ায় তিস্তা ক্যানেলের পূর্বদিকে গাছ বাগানের একটি ইউক্যালিপ্টাসের গাছ কর্তন করেছেন ফজলুল হকের ছেলে মশিয়ার রহমানসহ তাঁর গ্যাংরা। গাছ কাটার খবর পেয়ে বাদী ছমির উদ্দিন এবং স্ত্রী মর্জিনা খাতুন গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। এসময় মশিয়ার রহমান গ্যাংদের হাতে লাঞ্চিত হন তাঁরা। বাবা-মায়ের লাঞ্চিত হওয়ার খবর পেয়ে এগিয়ে আসে তাদের দুই মেয়ে শেলিনা আক্তার ও ফেরদৌসি বেগম।

সোমবার সরেজমিনে গেলে বাদী ছমির উদ্দিন জানান, গাছ কাটার সময় আমি আমার স্ত্রীসহ তাদের বাঁধা দেই, তাঁরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের মারতে আসে। এমন সময় আমার দুই মেয়ে এগিয়ে আসলে তাঁরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, এবং বড় মেয়ের কানের একজোড়া স্বর্ণের রিং ও গলায় থাকা একটি ইংলিশ চেইন ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মুল্য ৩৫ হাজার টাকা। বাদী আরো জানান, এই ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা করলে আসামীরা ও তাদের লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাছাড়া নাম পরিচয়হীন একজন হলুদ সাংবাদিক বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। 

আমরা দুই স্বামী-স্ত্রী ডালিয়া পওর বিভাগে অফিস সহায়ক ও মালী পদে চাকরী করি। যার ফলে এসব গাছপালা দেখার দায়িত্ব আমাদের। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি অফিস সহায়ক ছমির উদ্দিনের। তিস্তা ক্যানেলের ভবন দখর করে জোড়পূর্বক বসবাস করছেন ফজলুল হকের ছেলে মশিয়ার রহমান। এসব বিষয় জানতে মশিয়ার রহমানের বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মামলার আয়ু তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সুরত চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, তদন্ত চলছে, তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে বিষয়টি জানা যায়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ