কক্সবাজার ভুমি অধিগ্রহণ শাখায় ঘুষ দুর্নীতির অনুঘটক কে এই বিধান?


আব্দুল আলীম নোবেলঃ
কক্সবাজারে ভুমি অধিগ্রহণ কেন্দ্রীক দালাল দমনে প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না। সংশিষ্টদের রহস্যজনক নিরবতায় ভোক্তভূগী সেবা প্রার্থীরা একে কাগুজে হুমকি বলেও সন্দেহ করছেন। আবার অনেকে বলছেন, সর্ষ্যের ভেতর ভূত থাকলে ভুমি অধিগ্রহণ শাখা অনিয়ম দুর্নীতি মুক্ত হবে কেমনে। কালেক্টরেটের এ শাখার অসাধু কিছু কাননগো-সার্ভেয়ার অবৈধ পথে কাড়িকাড়ি অর্থ উপার্জনে দালাল চক্রের সাথে মধ্য¯’তার কৌশলে অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের অফিসে ব্যবহার করছে। ভুমি অধিগ্রহন শাখা ১ এ এমন চিত্র মিলেছে। 

সরজমিনে দেখা গেছে, বিধান নামে একজন সরকারী গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্র অহর্নিশ সেবা প্রার্থী কয়েজনকে দেখা”েছ। আবার সরকারী নিয়ম নীতির বাইরে কাউকে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ নতিপত্রের ফটোকপিও হাতে ধরিয়ে দি”েছ। খোঁজনিয়ে জানাগেছে এই বিধান বিধান এলও অফিসের কেউ নয়। গত বছর দেড়েক পূর্বেই এলও অফিসে আসা যাওয়া শুরু তার। এখন পুরোদ¯‘র এলও অফিসের নিয়মিত কর্মচারী বনে গেছে। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে দালালদের সাথে নিত্যনতুন সখ্যতা গড়ে তুলছে। রাতের আধাঁরে এলও অফিসের কিছু আসাধু কর্মকর্তার টাকার লেনদেনেরও মূলকান্ডারি। এমন অভিযোগ বিধানের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি। সম্প্রতি বিধানসহ আরো দুই জনের নামে নানা অভিযোগ এনে পোস্টার লিপলেটে চেয়ে গেছে পুরো শহর। 

তাদের হয়রানির শিকার ভোক্তভুগিরা অনৈতিকতার প্রতিকার চেয়েছে এইসব প্রচার পত্রে। সূত্রে আরো জানায়, দালাল ধড়পাকড়ে প্রশাসনের তোড়জোর চলাকালীন বিধান কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও  তার অভয়দাতা গুটি কয়েক কাননগো-সার্ভেয়ারের পরামর্শে আবারও স্বমূর্তিতে আভির্ভুত হয়েছে। কর্তা বাবুদের উপরি আয়ের অংশ বিধানের হস্তগত না হলে সেবা প্রার্থীরা কোনভাবে তাদের প্রয়োজনীয় কাজটির সুরহা পায় না। এলও অফিসে অবৈধভাবে থাকা এই বিধান এখন ঘুষ দুর্নীতিরও অনুঘট। তাকে নগদ নজরানা না দিলে রক্ষা নেই কোন সেবা প্রার্থীর। এমন কি অবৈধ খায়েশে সায় না দিলে তার চক্ষুশুলে পরিনত হন নিরিহ সেবা প্রার্থীরা। তাই সেবা প্রার্থীরাও এলও অফিসে গিয়ে বড় কর্তার সাহয্য না চেয়ে সর্ব প্রথম দ্বার¯’ হন এই বিধানের। পরে ফাইল-পত্রের অব¯’া পরখ করে মোটা অংকের রেট হাকান সেবা প্রার্থীদের কাছে। প্রভাবশালী বিত্তবানরা বিধানের কথায় রাজি হলেও গরিব অসহায়দের পক্ষে এত উ”চ রেইটের ঘুষের কাছে নতিশিকার সম্ভব হয় না। ফলে এইসব ফাইলের অগ্রগতি না হয়ে কাননগো-সার্ভেয়ারের কাছে আটকে থাকে মাসের পর মাস। শুধু কি তাই, ঘুষ দুর্নীতির এজেন্ট হিসেবেও বিধানের বেশ নামযষ রয়েছে এলও পাড়ায়।বিধানের এমন দাপুটে কর্মকান্ডের নেপথ্যের কালকাটি নাড়েন তার অভয়দাতা অফিসের কিছু বড় কর্তারাই। তাদের পরামর্শেই সেবা প্রার্থীদের সাথে ঘুষের টাকার দফারফা চুকান এই বিধান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিধান রাতের অন্ধকারে এবং শহরের বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে গিয়ে সেবা প্রার্থীর কাছ থেকে কাজ করিয়ে দেয়ার নামে মোটা অংক হাতিয়ে নেন। সেই টাকা পরে বিধান তার উপর¯’ কর্তাবাবুর হাতে সপেঁ দেন। কমিশন ভিত্তিক নেয়া এই টাকা সেবা প্রার্থীরা দিলেও কাউকে কাউকে কাজ বুঝে না দিয়ে সমুদয় টাকা লোপাটের অভিযোগও রয়েছে এই বিধানের বিরুদ্ধে। এইভাবে অবৈধ পথে বিধান নব্য কোটিপতি। এমনকি কারো কারো ব্যাঙ্গার্থক উক্তি সে নাকি এখন টাকার কুমির। 

এই বিষয়ে বিধানের কাছে জানতে চাইলে সে জানান, বড় কর্তার খায়েশ তামিল করি আমি। নেওয়া টাকার পুরোটাই যায় তাদের কাছে। উপর¯’ কর্তার নির্দেশে অফিসের ফাইল-বালাম ও ডকেটে হাত দিই। কারো অভিযোগ থাকলে এই বিষয়ে ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। বিধানের বিষয়ে  ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা(এলও) শামীম হুসাইনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে না বলে সরাসরি অফিসে এসে বিস্তারিত জানতে পরামর্শদেন। তবে এই ব্যাপারে বিধানের নিয়ন্ত্রক কাননগো নুরুল ইসলাম বলেন, বিধানকে আমি উত্তরসুরি হিসেবে পেয়েছি। আমি তার ব্যাপারে কিছইু জানি না। এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বলেন, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। শীঘ্রই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিচ্ছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ