উলিপুরে বিট পুলিশিং এর কল্যাণে দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিবাদের অবসান ঘটলো দুটি পরিবারের


নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
 

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম জনাব সৈয়দা জান্নাত আরা'র নেতৃত্বে  বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক কলহের অবসান ঘটিয়ে জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের সদস্যগন  প্রমাণ দিয়ে চলেছে তারা জনগনের পুলিশ। অসংখ্য সফলতার মাঝে বিট পুলিশিং এর আরো একটি সফলতা পেলো।

উলিপুর থানাধীন হাতিয়া ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তি বাদী মোঃহান্নান মিয়া(৩৪)পিতা জাবেদ আলী বনাম আসলাম মিয়া (৫৫) গং, সকলের সাং বাগুয়া অনন্তপুর,উপজেলা উলিপুর, জেলা কুড়িগ্রাম দুই পক্ষ জমাজমির(বাড়িভিটা) রাস্তা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে একাধিকবার মিমাংসার জন্যে বসলেও কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি এই দুই পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার।

অভিযোগকারী মোঃ হান্নানমিয়া(৪০) এর পিতা মোঃ জাবদ আলী অনন্তপুর, উলিপুর,কুড়িগ্রাম এসে উলিপুর থানার  অফিসার ইনচার্জ জনাব, ইমতিয়াজ কবির এর দ্বারস্থ হয়ে তাহাদের বাড়ীভিটা জমি ব্রম্মপুত্র নদীগর্ভে যাওয়ায় প্রায়  ২০ বছর অনন্তপুর হাতিয়া মৌজার শিবু মাষ্টারের নিকট জমি কিনে ২টি পরিবার বাড়ী করেন। পরবর্তীতে উক্ত বাড়ী থেকে বাহির হওয়ার রাস্তা না থাকায় ২০১৩ সালে বাড়ী থেকে রাস্তায় বাহির হওয়ার জন্য উক্ত গ্রামের জনৈক রাবিন্দ্র নাথ এর নিকট ৬ শতক জমি ক্রয় করেন। 

উক্ত জমিতে থাকা বাকি অংশ পাকিস্তান আমলে ১১ শতক জমি  বিক্রি করেন স্থানীয় সাবেক মেম্বর আসলাম এর পিতার নিকট। তাতে সৃষ্টি হয় সমস্যা।  জমির কাগজে মোট ১৭ শতক জমি উল্লেখ থাকিলেও পজিশন এ মাত্র ১২.৬ শতক। এক পর্যায়ে উক্ত জমির পূর্ববর্তী মালিক ১১ শতক জমি মনে করে প্রতিপক্ষ বাবলু ও রানু মিয়া সহ ৬ এর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় আসেন।  অফিসার ইনচার্জ সাহেব সরসরি মামলা না নিয়ে  প্রাথমিকভাবে তদন্তের জন্য ও বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে জমি ও রাস্তা সংক্রান্ত বিবাদ নিরসন করার জন্য ১২নং বিট-পুলিশিং  হাতিয়া বিটের অফিসার এস আই মিলনকে  নির্দেশ দেন। 

আজ শুক্রবার ১১ঃ৩০মিনিটে পুরাতন অনন্তপুর বাজারের তিনশ গজ দক্ষিনে এস আই মিলন  দু-পক্ষকে একত্রে ডেকে পাশাপাশি ১২ নং  ইউপি চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন, ইউপি সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন,ইপি সদস্য মোঃআসলাম, হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ শাখার সাধারন সম্পাদ উমর ফারখ, মোঃ তাইজুল ইসলাম, মফস্বল সাংবাদিক  দৈনিক ইনফো বাংলা পত্রিকার সংবাদকর্মী নয়ন দাস, ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কে সঙ্গে নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের বাড়িভিটা ও রাস্তার নিয়ে প্রতিবন্ধকতার জের ধরে সৃষ্ট বিবাদ এর সকল ঘটনা শুনে বুঝে, উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র দেখে দীর্ঘসময় ধৈর্যের সহিত দু পক্ষের কথা শুনে ভূমি মাপার আমিন দিয়ে নিরপেক্ষ্যভাবে জমি মাপার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।  

যদিও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সালিশের পর একাধিক বার মাপযোগ করিয়েও সমাধান হয়নি। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধৈর্যের সহিত চেষ্টা করিয়ে  অদ্য বিকাল ০৩.০০ টার সময় মাপযোগ শেষে বিষয়টি সমাধান মাপদিয়ে সঠিকভাবে দুই পক্ষকে জমি বুঝিয়ে দিয়ে বাহির হলে অভিযোগকারীর পরিবার সহ আরো কয়েকটি পরিবারের বাড়ী হতে বাহির হওয়ার সেই হারিয়ে যাওয়া রাস্তা। সেই সাথে নিরসন হল কোন্দল এবং প্রতিষ্ঠিত হল বিট পুলিশিং এর ১২ নং হাতিয়া বিটের  বিটের নিরোলস পরিশ্রমের ফলে ফিরে এলো সমাজের শৃঙ্খলা। দুটি পরিবারকে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত হতে ফিরিয়ে এনে শান্তির পথে দার করে দিল এস আই /মিলন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ