পঞ্চগড়ে কমেছে পেঁয়াজ আলু সহ সব সবজির দাম দেশী পেয়াঁজ কিনতে আগ্রহী ক্রেতাসাধারন


মো. কামরুল ইসলাম কামু,পঞ্চগড়ঃ
 

হতাশা কেটেছে মানুষের মাঝে ‘ আলু পেঁয়াজ নিয়ে ছিলো বাড়তি টেনশন। অস্বস্তি ছিলো সবজির বাজার নিয়ে। তা কেটে গেছে গত কয়েকদিনে। মুলা এখন তেমন একটা কেউ কিনছেনা।শিমের বাজার নিম্মমূখী। প্রতিকুল পরিস্থিতি নিয়ে বেসামাল ছিলো সবজির বাজার তাই হায় হতাশায় ছিলো জনসাধারন। 

সবজির সরবরাহ কিছুটা কম থাকায় আলুর বাজার হয়ে পড়ে উর্দ্ধমুখি। সাথে ভারত পেয়াঁজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় সারাদেশে। মিডিয়ায় পেঁয়াজ নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠে। এরপর হঠাৎ আলুতে দাম বেড়ে যায়। বাজার সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়িরা আলুর দাম বাড়িয়ে দেয়। প্রশাসন আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। হতাশায় পড়ে যায় ভোক্তারা।

এছাড়া অতিবৃষ্টির কারনে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শীত পড়তে না পড়তে সবজির বাজার আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে।লাল শাক শেষ পর্যন্ত ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়। ফলে বাড়তি টাকা গুনতে হয় ক্রেতাসাধারনকে। পেঁয়াজের বাজার সাথে আলুর দাম বেড়ে গেলে কৃষকরা আলু পেঁয়াজে জোড় দেয়। তারা পেঁয়াজ ও আলু আবাদে ঝূঁেক পড়ে। ফলে গত এক মাস ধরে পেয়াঁজ ও আলুর দাম ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ‘ এবার জেলায় পেয়াঁজের আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬৩২ হেক্টর জমি। গতবার ছিলো এক হাজার পাঁচ শো ৫৫ হেক্টর জমি। আলুর আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি। গতবার ছিলো ৯ হাজার ৯২০ হেক্টর জমি।

পঞ্চগড় বাজারে আলু বর্তমানে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।শিম প্রতি কেজি ১০ টাকা।এই শিম কৃষকের ক্ষেতে ৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও পাতা কপির দাম একেবারে হাতের নাগালে। ১০ টাকা প্রতি কেজি।বাড়ছে সোনালি মুরগীর দাম। ১৮০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। তবে সোয়াবিন ও মুসরির ডালের দাম বাড়তি। অস্বস্তি এখন তেল ও ডালে। মান ভেদে কিছুটা কমেছে চালের দাম। সব ধরনের চালের ৫০ কেজির বস্তায় কমেছে ৫০ টাকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ