পঞ্চগড়ে গভীর রাতে শীতার্তদের পাশে জেলা প্রশাসক


মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় ঃ

মাঘের শীতে নাকাল উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। হার কাঁপানো শীতের দাপট গত কয়েকদিনে বাড়তে থাকে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দূর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও দুঃস্থ শীতার্তরা। এসব অসহায় মানুষদের শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষায় গভীর রাতে শীতের কম্বল নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। রাতের আধাঁরে রেল স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার শীতার্তদের কাছে গিয়ে কম্বল পরিয়ে দেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগ দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল মান্নান।

শনিবার রাত ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কয়েকশ শীতের কম্বল নিয়ে প্রথমে পঞ্চগড় সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনে যান জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। স্টেশনের প্লাটফর্মে অবস্থানকারী শীতার্তদের গায়ে তিনি নিজে কম্বল জড়িয়ে দেন। পরে রেল স্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে দেখা রিক্সাভ্যান ও অটোবাইক চালকসহ স্থানীয় দু:স্থদেও মাঝে তিনি কম্বল বিতিরণ করেন। এরপর তিনি জেলা শহর হয়ে তুলারডাংগা মহল্লা এবং পাশের আশ্রয়ন প্রকল্প মুজিবনগরের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিলি করেন।

পঞ্চগড় সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনের শীতকাতর আমেনা বেগম (৫০) বলেন, ‘আমি সকালের ট্রেনে মৌলভী বাজার যাব। স্টেশনেই ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু প্রচন্ড শীতে ঘুম ধরছিল না। জেলা প্রশাসক আপা আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিল। এখন মনে হচ্ছে ঘুমাতে পারবো।

জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পঞ্চগড় শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রায় দশ লাখ জনগোষ্টির এই জনপদে এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারিভাবে ৪০ হাজারের মত  শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া শীতের কম্বলের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ৩০ লাখ টাকার মধ্যে পাঁচ উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকা দিয়ে কম্বল ক্রয় করে উপজেলা পর্যায়ে ইতিমধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এলাকার কেউ যেন শীতে কষ্ট না পায় সেই চেষ্টা আমাদের অব্যাহত রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ