রাজারহাটে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অবাধে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিককে হুমকী॥ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ


রাশেদ কুড়িগ্রামঃ
 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও প্রভাবশালীরা ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে অবাধে। ফলে হুমকীর সম্মূখীন হয়ে পড়েছে অনেক ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী।

জানা গেছে, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ন সোনালুরকুটি গ্রামের ফসলি জমি কেটে ৩টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন রাত অনবরত বালু উত্তোলন করে  প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা ভরাট কাজ শুরু  করেছে।বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় ওই জমির আশপাশের ফসলি জমি ও বসত ভিটা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের ভিত্তিতে ১২জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে দৈনিক যুগান্তরের রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি ও তথ্য সংগ্রহের সময় ড্রেজার মালিকের লোকজন স্থানীয় আঃ মান্নান সহ অজ্ঞাতনামীয় কয়েক জন তথ্য সংগ্রহে বাধা প্রদান করে বাত-বিন্ডায় জড়িয়ে হুমকী প্রদর্শন করে। 

পরে ঘটনাস্থল থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী (ভূমি) কমিশনারকে মুঠো ফোনে অবগত করলে  রাজারহাট থানার এসআই শরিফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়। পুলিশ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ঠিকারদারকে জানিয়েছি, ঠিকাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রাজারহাট উপজেলার প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ বালুর অভাবে বন্ধ রয়েছে। ইতিপূর্বে কয়েকটি রাস্তায় ড্রেজার দিয়ে  বালু ফিলিং করার সময় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন ভাংচুর করে একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করে। কিন্তু  ড্রেজার মালিক আঃ রাজ্জাক সরদার কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।

এলাকাবাসীরাও অভিযোগ করে বলেন, ফসলি জমি কেটে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় অনেক ফসলি জমি ও বসত বাড়ি হুমকীর সন্মূখীন হয়ে পড়েছে। বালূ উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায়মুখ খুলতে পারছি না। এমনকি উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। ১৩জানুয়ারী বুধবার এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা নূরে তাসনিম জানান, এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ছবি দিয়ে মিথ্যা আপত্তিকর ও পার্সোনাল বিষয়ে যারা ভাইরাল করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ