মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বাতিল হওয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান কাউন্সিলর, ২ জন সাবেক কাউন্সিলর ও অপর একজন নতুন প্রার্থী রয়েছেন।আজ রবিবার আপিল আবেদনের শুনানি শেষে তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনের আপিল কর্মকর্তা নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় তারা প্রার্থীতা ফিরে পান। তবে অপর একজন প্রার্থীর বয়স কম হওয়ায় তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাননি। যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন,পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহিন হোসেন ও মো. নুরুল আমিন প্রামানিক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আকতার হোসেন ফেকু, ৭ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহীন আকতার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম সরদার এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. তারিক আজিজ।
অপরদিকে ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মশিউর রহমান লিটনের বয়স প্রমাণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে না পারায় আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন আপিল কর্মকর্তা। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন পর্যন্ত পৌরসভার মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিরর পদে ২১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে
ঋণখেলাপীর কারণে ৬ জন এবং বয়স কম থাকায় অপর ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও নীলফামারী জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফজলুল করিম প্রার্থীদের ওই মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরবর্তীতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল কর্মকর্তা ও নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বরাবরে আপিল আবেদন করেন।
আজ রবিবার আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপী নয় মর্মে প্রদত্ত সিআইবি প্রতিবেদন দাখিল করায় বাতিল হওয়া ৭ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার ১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মশিউর রহমান তাঁর বয়স প্রমাণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করতে না পারায় বয়স কমের কারণে তাঁর প্রার্থীতা আপিল বিভাগেও বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর আগামী ১৬ জানুয়ারী পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ