পঞ্চগড়ে চাল ও সোয়বিন তেলের বাজার অস্থির সবজির বাজারে স্বস্তি



মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ 

সোয়বিন তেলের দর বাড়তি। গত এক মাসে প্রতি এক লিটার তেলে বেড়েছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা। বাড়ছে চালের দাম।বেড়েছে চিনির দাম ও। এদিকে খোলা বাজারে খোলা চা পাতার দর বাড়তি। সব মিলিয়ে সবজির দর হাতের নাগালে থাকলেও এসব নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে হতাশা দেখা গেছে।

চলতি আমন মৌসুমে খোলা বাজারে প্রতি কেজি চালের দর ৪২ টাকা। ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অজুহাতে মৌসুমের শুরুতেই ধানের বাজার চড়া। এক মন ধান ১০৫০ টাকা থেকে ১০৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকাররা জমিতে ধান কিনে নিয়ে যায়। নতুন চাল বাজারে আসার পরপরেই আঠাইশ, মিনিকেট সহ সব ধরনের চিকন চাল ৫০ কেজির প্রতিবস্তা ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পায়। ২৪৫০ টাকার আঠাইশ চাল ৫০ কেজির বস্তা গিয়ে দাড়াঁয় ২৬৫০ থেকে ২৮০০ টাকা। মিনিকেটও তাই। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় বেড়ে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা। তবে মোটা চাল তেম ন একটা পাওয়া যায়না। যদিও পাওয়া যায় যার প্রতি কেজি খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৪৭ টা। 

পঞ্চগড় বাজারের কয়েকজন চাল ব্যবসায়ি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন ‘ মোকামে যেমন সেতাবগঞ্জ, ঠাকুরগাওঁ নওগাও  মিলগেটে মিলাররা চালে দাম বেশি নেওয়ায় আমাদের করার কিছু থাকে না। একজন চাল ব্যবসায়ি বলেন ‘আগে যেখানে মিনিকেট ২৬০০ টাকায় বিক্রি করা যেতো এখন তা ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা বিক্রি করতে হয়। 

এদিকে পলিজাত সহ খোলা সোয়াবিনের দাম বেড়ে আকাশ ছোঁয়া। পলিপ্যাক সোয়াবিন তেল প্রতি একলিটার ছিলো ১০০ টাকা। সেই সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। সুপার হিসেবে হিসেবে পরিচিত খোলা সোয়াবিন ১০০ টাকা। বাজারে ব্র্যান্ডের তেল যেমন ২ লিটার রুপচাঁদা ছিলো ২০০ টাকা সেই সোয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। তীর সোয়াবিন ও তাই।

কয়েকজন গালামাল ব্যবসায়ি জানান ‘ কোম্পানী দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কি করবো’।তাছাড়া চিনিকল বন্ধ করার ঘোষনার দিনই এক কেজি চিনি যেখানে ৬৫ টাকা য় বিক্রি হতো । সেই চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলা চা পাতা প্রতি এককেজি ২৪০ টাকা ছিলো । অথচ এখন ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এমন অবস্থায় সবজির দাম অনেকটা স্বস্তি ফেলেছে মানুষের মাঝে। কারন চাল, তেল  ও ডালের দাম বাড়ছেই।তবে পুরনো আলু বাজার থেকে উধাও। 

নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। পেয়াঁজের বাজার অনেকটা নিম্মমূখী। নতুন পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। পুরনো পেয়াঁজ ৬০ টাকা কেজি। তবে বাজারে কোনো মনিটরিং নেই। তাই হতাশ জনসাধারন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ