কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষিকার বিষয়ে তদন্ত শুরু


খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারীঃ
 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার খামার গাড়াগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সূর্যি আক্তার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। গত ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া নাতনি পরিচয়ে সূর্যি আক্তার’র চাকুরীর বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে আসে। 

সংবাদের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৮নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়। তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়ার সাথে সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন সূর্যি আক্তারকে প্রকৃত নাতনি পরিচয় দেয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ শুরু করে। 

কোথাও কোন সুরাহা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন সংবাদকর্মী ও জেলা সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করতে চেষ্টা চালায় শিক্ষিকা ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। শেষে সাংবাদিকদের কোনভাবে ম্যানেজ করতে না পারায় অবশেষে দিকবিদিক ছুটা ছুটি শুরু করেছে ওই দুই পরিবার। এলাকাবাসীর তথ্যমতে সূর্যি আক্তার ছিট রাজীব গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়ে এবং মৃত মোফাজ্জল হোসেনের নাতনি। 

তার মায়ের নাম মর্জিনা বেগম মোহছেনা। কিন্তু শুরু থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন সূর্যি আক্তারকে নাতনি পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকলেও তদন্ত কমিটি গঠনের পর থেকে নিজের নাতনি পরিচয় সাব্যস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন বলছে তার মেয়ে মর্জিনা বেগম মোহছেনা সূর্যি আক্তারের জন্মের কিছুদিন পর মারা গেছে। 

আর এলাকাবাসী বলছে সূর্যি আক্তারের বাবা জাহেদুল ইসলাম একই এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মর্জিনা বেগম মোহছেনাকেই বিয়ে করেছে। জাহেদুল ইসলাম দ্বিতীয় কোন বিয়ে করেনি। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কিশোরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি প্রাণ কৃষ্ণ রায় প্রান্ত বলেন,জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা বেগম মোহছেনা মৃত মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। আর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিনের কোন মেয়ের সাথে জাহেদুল ইসলামের বিয়ে হয়নি।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন,তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোন কিছু মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ