ডোমারে মহিলা শিক্ষক হোষ্টেলটি এখন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়


রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
 

নীলফামারীর ডোমারে মহিলা শিক্ষক হোষ্টেলটিতে (প্রমোট) এখন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কাজকর্ম চলছে। এতে উপজেলার বাইরে থেকে আসা নারী চাকুরীজীবিদের সরকারী তত্ত্ববধানে থাকার পথটি বন্ধ হয়ে গেছে। 

সরকারী কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় অবস্থিত হোস্টেলটিতে সাধারন মানুষের অবাধে চলাফেরার কারণে কিছুটা নিরাপত্ত্বহীনতা দেখা দিয়েছে মনে করছেন সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাসকারী অনেকে। তবে মাধ্যমিক কর্মকর্তার নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য এ হোস্টেলে কার্যক্রম চলবে বলে মাধ্যমিক কর্মকর্তা জানান। 

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আবাসিক এলাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যেগে নারী শিক্ষিকা ছাড়াও নারী চাকুরীজীবিদের থাকার জন্য নারী শিক্ষক হোষ্টেলটি (প্রমোট) তৈরী করা হয়। ২০০৩ সালের ৫ মার্চ তৎকালীণ শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ শহিদুল আলম এর উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে নারী চাকুরীজীবিরা হোষ্টেলটিতে বসবাস করে আসছে। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম সু-কৌশলে নারী চাকুরীজীবিদের হোষ্টেল (প্রমোট) থেকে বের করে দিয়ে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড  টাঙ্গিয়ে অফিস ও মাঝে মধ্যে আবাসিক হিসেবে তিনি নিজে ব্যবহার করছেন। আবাসিক এলাকায় অফিস পরিচালনা করায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রমোট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শাকেরিনা বেগম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কোন ভবন না থাকায় দির্ঘদিন ধরে একটি জরাজীর্ণ ভবনে কার্যক্রম পরিচালন করে আসছি। বৃষ্টির কারণে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে ওই ভবনে। 

প্রমোটে অবস্থানরত বর্ডাররা সোয়া দুই লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি রেখে অনেকে না জানিয়েই চলে গেছে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য আমারা প্রমোট ব্যবহার করছি। দ্বিতীয় তলায় আমি ও আরো দুইজন নারী চাকরীজীবি বর্ডার হিসাবে অবস্থান করছি।  তিনি আরো জানান, অনেক আগেই প্রমোটের কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ