পঞ্চগড়ে সবজির বাজার উঠানামা করছে দাম উর্দ্বমুখী


পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলাম কামু॥
 

মৌসুমের সবোর্চ্চ অতিবৃষ্টি সবজির বাজারকে বেসামাল করে ফেলেছে। কখনো দাম কম‘ আবার কখনো বেশি। লালশাক, পুইশাক ,লাউ যেখানে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে খেতে হয়েছে। সেখানে এই লাউ কখনো ১৫ টাকা কখনো ২৫ থেকে ৩০ টাকা। লাল শাক কখনো ১৫ টাকা কখনো বা ২৫ টাকা,পুইশাক ঠিক সে দরে বিক্রি হচ্ছে। 

গেলো সেপ্টেম্বরে ২/৩ দিনের লাগাতার বর্ষণে আগাম সবজির ক্ষেত নষ্ট ও শীতের সবজি লাগাতে দেরি হওয়ায় সবজির বাজারে ভারসাম্য নেই। করোনা পরিস্থিতিতে ও মানুষের চলাফেরা এবং কাজ-র্কমে গতি ফিরে আসায় মানুষ এখন বাড়িতে থাকছে না। ফলে জীবন-জীবিকা কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠছে। যোগান বেড়েছে সবজি সহ সব পন্যের দাম। 

বৃষ্টির ফলে কিছুটা হলেও দেশি মাছের সরবরার দেখা গেছে ছোট-বড় সব ধরনের হাটে-বাজারে।কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন এমন অবস্থা থাকবেনা। শীতের সবজিতে বাজার ভরে উঠবে। কম দামে মিরবে সবজি। অথচ ক্ষেতে ক্ষেতে গিয়ে পাইকারগন করলা ,বেগুন, মুলা, লাউ কিনে গাড়ি ভরে নিয়ে যাচ্ছে রাজধানীতে। ফলে বেগুন এখনো ৫০/৬০ টাকা ,করলা ৪০/৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।মুলা কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

এছাড়া সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলে ও সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি। পেয়াঁজ ৮০ টাকার নীচে নামছেনা। ব্যবসায়িরা বলছে ‘ নতুন দেশি পেয়ঁজ বাজারে আসলেও আগের দামে পেয়াাঁজ মিলবে না। যদি ভারতের বিকল্প বাজার খোজাঁ না হয়। এলসির পেঁয়াজ না আসলে পেয়াঁজের বাজার এখন যে অবস্থায় আছে তেমনটাই থাকবে। 

এই পেয়াঁজ আর আলুর দামের পাশাপাশি লাফিয়ে লফিয়ে বাড়ছে সোয়াবিন তেল ও মসুর ডালের দামও। ফলে সব কিছু যেনো নিয়ন্ত্রহীন হয়ে পড়ছে। একজন কাচাঁমাল ব্যবসায়ি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন ‘হিমাগারগুলিতে জরিমানা বন্ধ করা হোক দেকবেন আলুর দাম কমে গেছে। শীতকালিন সবজি ফুলকপি ১০০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ১০০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।সবজি ব্যবসায়ি নুরনবী জানান‘ বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেগুন ও মুলার দাম কমছেনা।

এক সময়ে ৫০ টাকার মোটা মুসুর ডাল ছিলো ৫০/৫৫ টাকা, চিকন মসুর ছিলো ১০০ টাকা।অথচ চিকন মুসুর এখন ১২০ টাকা, মোটা মুসুর ডাল ৭৫ টাকা প্রতি কেজি। কয়েকদিন আগে মোটা মসুর ডাল ছিলো ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা। একজন গালামাল ব্যবসায়ি বলেন‘ মোটা মসুর ডাল ৭২ টাকা কেনা। মাস দুয়েক আগে রুপচাদা প্যাকেটজাত সোয়াবিন ছিলো ২ লিটার ২০০ টাকা থেকে ২০৫ টাকা, তীর সহ অন্যান্য ব্যান্ড ছিলো ২০০ টাকা। সেই সোয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ২ লিটার বোতল ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। 

সব ধরনের গোস্তের দাম আগের মতোই আছে। তবে বয়লার মুরগী ১২০ টাকা, সোনালি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।দেশি মুরগী ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের বাজার বাড়তি বযলার মুরগীর ডিম ৩৪/৩৬ টাকা হালিতে উঠানামা করছে।দেশি মুরগীর ডিম ৫৫ টাকা।

এদিকে বাজারে মোটা চাল তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছেনা স্বর্ণার ৫০ কেজি বস্তা ২৩০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা, আঠাইশ চাল ২৪০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা এবং মিনিকেট ২৬৫০ টাকা থেকে ২৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল পাওয়া গেলেও প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে ৪৭ টাকা প্রতি কেজি। অনেকে বলছে চালের বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। 

বৃষ্টি সহ নানা অজুহাতে তারা চালের বাজাকে নিজের নিয়ন্ত্রনে রেখেছে। আমন ধান উঠলেও বাজার তেমনএকটা হেরফের হবেনা এমনটা বলছে ‘ খুচরা ব্যবসায়িরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ