পঞ্চগড়ে পাটের ফলন কম হলেও দামে খুশি কৃষক


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ

চলতি মৌসুমে এবার আগাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে পঞ্চগড়ে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জমিতে পাট অনেক কম চাষ এবং ফলন কম হওয়াতে মৌসুমের পাটের বাজার কিছুটা কম থাকায় দর নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা। বর্তমানে পাটের বাজারদর নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে খুশির আনন্দ। এলাকার বাজার গুলোতে এখন ভাল মানের তোশা জাতের পাটের বাজার মূল্য ২ হাজার ৩০০ শত থেকে ২ হাজার ৪০০ শত টাকা দরে বৃক্রি করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। 

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের বুড়ি পাড়া এলাকার কৃষক মোঃ আব্দুল হামিদ তিনি বলেন আগাম বৃষ্টির কারণে এবারে পাট লম্বা ও মোটা হতে পারে নাই যার ফলে ফলন অনেক কম গত বছরে আমি  ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ৪৮ মণ পাট উৎপাদন হয়েছিল কিন্তু এবছর সেই লক্ষমাত্রা পুরন হলো না।  সে পরিমাণ জমিতে এবার ফলন হয়েছে মাত্র ২৪ মণ। প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ মণ করে। তিনি আরও বলেন, গত বছর পাট বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৫ শত থেকে ১ হাজার ৬ শত টাকা পর্যন্ত। এবার চলতি মৌসুমে পাট উৎপাদন কম হলে দামে অনেক খুশি আমি।

গত বুধবার পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভালো মানের তোশা পাট বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণে ২ হাজার ৩০০ শত থেকে ২ হাজার ৪০০ পর্যন্ত এবং নিম্ন মানের পাট ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

পাট ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন  জানান, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন পাট কারখানার মালিক গুলো পঞ্চগড় জেলার পাট সংগ্রহ করে থাকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী এবার পাট সংগ্রহ করতে পারছি না ফলন কম হওয়ার কারণে এদিকে পাটের বাজার দর খুব ভাল থাকায় স্থানীয় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানান যায়,  চলতি মৌসুমের উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পুরো জেলায় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৪ শত ৯৫ হেক্টর জমি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩ শত ৩৯ বেল ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬ শত ৯৫ মেট্রিকটন এবং অর্জিত উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৮ হাজার ৫ শত ৪০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৯ বেল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৬ শত ৯৫ মেট্রিক টন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ