কুড়িগ্রামে মোঘল আমলের চান্দামারী মসজিদ সংরক্ষণের দাবী

রাশেদ কুড়িগ্রামঃ 

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ৫শত বছরের পুরোনো মোঘল আমলের নিদর্শন চান্দামারী মসজিদটি স্বমহিমায় এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে। সংষ্কারের অভাবে এখন ভগ্ন দশাবস্থায়।

রাজারহাট উপজেলা পরিষদ থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দামারী মন্ডলপাড়া গ্রামে মাত্র ৫১শতক জমির উপর নির্মিত মসজিদটি অপূর্ব কারুকার্যে খন্ডিত। এলাকাবাসীরা এই প্রাচীন স্থাপনা রক্ষনাবেক্ষণের জন্য সরকারের প্রত্বতত্ত¡ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এলাকাবাসীরা জানান, প্রায় ৫শত বছর আগে মোঘল আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। ভারতের বাবরি মসজিদ  ও বাগের হাটের ৬০ গম্বুজ মসজিদের আদলে তৈরি এই সুনিপণ মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ ও তিনটি মেহেরাব রয়েছে। ইট-সুরকি দ্বারা নির্মিত মসজিদটিতে এলাকার মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। 

প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী এই মসজিদটি দেখতে আসেন।মসজিদের পুরো অবকাঠামোটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট, প্রস্থ ২২ফুট এবং উচ্চতা ৬০ফুট। চারদিকে বাউন্ডারি ওয়াল দ্বারা ঘেরা। মসজিদটি অতি প্রাচীন হওয়ায় এখন ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। একটি গম্বুজ একাংশ ভেঙ্গে গেলে স্থানীয়রা তা সংষ্কার করে। এছাড়া দু’একটি অংশের গাঁথুনিতেও লোনা ধরেছে। বর্ষাকালে দেয়াল বেয়ে পানি জমে মসজিদের ভিতর। গ্রামের লোকজন গরীব ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির হওয়ায় তারা মসজিদটি সংষ্কারে কোন উদ্যোগ নিতে পারছে না।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, এ উপজেলায় সবচেয়ে পুরোনো মসজিদ চান্দামারী মসজিদ। অথচ এই প্রাচীন স্থাপনাটি আর্থিক সমস্যার কারণে সংষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।

চান্দামারী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আক্তার আহসানসহ এলাকাবাসীরা ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির স্মৃতি সংরক্ষণ করতে প্রত্বতত্ত্ব বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ