পঞ্চগড়ে ঘূর্ণিঝড় হচ্ছেনা ‘নভেম্বরে শীত


কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ

আশি্বণের শেষেও প্রচন্ড গরম পড়েছে পঞ্চড়ে। এতে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জীবন। চারদিকে রোদ্রের দাপট। গেলো কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে যেমন জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছিলো। ঠিক তেমনি ভাবে গরমে জনজীবনে অসহনীয় হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পর ২/৪ দিন একটু শীত অনূভূত হলেও এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। 

এখন রোদ্রে প্রায় থমকে যাওয়ার মতো জীবনযাত্রা। বাড়ির বাইরে গেলে শরীরের প্রচন্ড গরম অনুভূত হয় সাথে ঘাম ঝড়ে। ক‘দিনের গরমে মানুষের জীবন নাকাল হয়ে পড়ে।ফ্যানের বাতাসে যেনো গরমের ফুলকি। কয়েক দিন আগে রাতে শীত অনুভূত হয়েছিলো। এর কারনে অনেকে সামান্য হলেও গরম কাপড় পড়ে রাত্রি যাপন করতে হয়েছে। উঁকি দিয়ে শীত যেনো আবার হারিয়ে যায়।

এদিকে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায় ‘ এখন আর বৃষ্টি হচ্ছেনা। স্থানিয় ভাষায় আশি^ণ সাতোয়ার পরেই শীত পড়ে। এ বিষয়ে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন ‘  বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রে নিম্মচাপ হওয়ার কারনে গরম পড়েছে।’ এখন আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা নাই’। 

বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেওয়া সম্ভাবনা ছিলো।’ সেটি মনে হয় ডাই আউট হয়ে গেলো।’ ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে।’ আশি^ণ সাতোয়া তো ওইটাই ‘ চব্বিশ ঘন্টার বৃষ্টি।’তবে নভেম্বরে শীত পড়ার বেশী সম্ভবানা রয়েছে।’ তবে রাত ১২ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা পড়ছে।’ তিনি আরো বলেন ‘ এবারের গরমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুঁলিয়ায় ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 

আজ বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ‘৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ছিলো ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এছাড়া এবার তেতুঁলিয়া স্বরণকালের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৭৭ মিলিমিটার। এর কারনে সম্প্রতি প্রবল বর্ষণ হয়। চব্বিশ ঘন্টার বর্ষণে জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছিলো।’ 

এদিকে কয়েকদিনের বর্ষণে ক্ষেতের শাক-সবজি নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বাজারে সবজির দাম বেড়ে যায়’। এর কারনে পঞ্চগড়ের সবর্ত্র নীচু জমির রোপা আমন পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায।’ মঙ্গলবার জেলার বোদা উপজেলার বোদার বেংহাড়ির তেপুখুরিয়া ও মাড়েয়ার জংলিপীর ,

ফুটকীবাড়ি , বকশীগঞ্জ কালিয়াগঞ্জের পনিডুবি ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ট্রেপীগঞ্জের রামগঞ্জবিলাসী, গাজোকাটি  এলাকায় সরজমিন ঘুরে দেখা যায় ‘ রোপা আমনের ক্ষেতে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।’ ধান গাছে ধান ফুটেছে। মাস খানেকের মধ্যে ধান কাটা শুরু হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ