সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ


মিজানুর রহমান মিলন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দপুর থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে মামলাটি করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আটক আবু সাঈদ ওরফে সবুজকে (৪২) গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রবিবার সকালে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠিয়েছে  থানা পুলিশ। 

সে পূর্ব বোতলাগাড়ী ওয়াপদা নতুনহাট গোলাহাট এলাকার মৃত. আইয়ুব আলীর ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ওই ছাত্রী শহরের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। তাঁকে স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি সবুজ। 

উত্ত্যক্তের ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রী তাঁর মাকে জানায়। পরবর্তীতে তাঁর বাবা ও বড় বোন উত্ত্যক্তকারী সবুজকে ঘটনার বিষয়ে নিষেধ ও সর্তক করেন। তারপরও সবুজ ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলতো এবং তাঁকে বিয়ে করবে জানিয়ে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও নিয়ে যেত। 

এ অবস্থায় গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী তাঁর বড় বোনের বাড়ি ঢেলাপীর পুলপাড়ায় বেড়াতে যায়। এ সময় তাঁর বোন উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকের কাজে এবং দুলাভাই অটোরিকশা চালক বাড়ির বাইরে ছিলেন। আর তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আবু সাঈদ ওরফে সবুজ ওই ছাত্রীর বড় বোনের বাড়িতে যায়। 

সেখানে তাঁকে  একা পেয়ে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর বড় বোন তাঁর কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুঁটে এসে আবু সাঈদ সবুজকে আটক করেন। পরে  জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে তাকে থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়। 

গতকাল শনিবার রাতে সৈয়দপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলা করা হয়। ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সৈয়দপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের ও আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং আসামী সবুজকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন দাবি করে বলেছে সবুজকে সাজানো অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ