অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে -শিল্পমন্ত্রী

মো. কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বে দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে ‘দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ৭১’এ মুক্তিযুদ্ধে যে ভাবে বিজয়ী হয়েছি ,ঠিক সে ভাবে দ্বিতীয়  কোভিট-১৯ যুদ্ধে নিশ্চিত বিজয় লাভ করবো’। 

এখন অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে’। মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে জেলার বোদা উপজেলার ধনিপাড়া নামক স্থানে বাফার গোডাউন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। আমরা সাধারণ মানুষের চিন্তা করি, তৃণমূলের চিন্তা করি।
 

আমরা কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের চিন্তা করি। এই অঞ্চল কৃষি ভিত্তিক অঞ্চল। সে কারণে আমরা কৃষকদের সারের চাহিদা পুরণ করেছি, বিদুৎতের চাহিদা পুরণ করেছি। এই অঞ্চলে গ্যাসের সুযোগ নাই। তাই আমরা চিনিকল এলাকায় এগ্রোবেজ শিল্প কারখানাসহ পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি । 

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার রুগ্ন চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে করে কোন চিনিকল বন্ধ করা হবে না এবং কোন শ্রমিক ছাটাই করা হবে না। চিনিকলগুলোতে বিশাল সম্পদ রয়েছে। সেগুলো আমরা কিভাবে কাজে লাগাতে পারি, আরও আয়ের ব্যবস্থা করতে পারি সেজন্য আমরা দেশ ও বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ করছি। 

চিনিকলের জায়গায় পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন রকমের কৃষি ভিত্তিক কল কারখানা করার প্রস্তাবনা আসছে। আমরা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করর। এখানে নতুন করে আরও শিল্প কারখানা স্থাপন হবে। নতুন করে সেখানে আরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু র্দশন ছিলো কর্ম সুবিধা বঞ্চিত শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা।তাই শিল্প কারখানা গড়ে তোলার বিকল্প নাই’।এছাড়াও তিনি আরো বলেন  আগামী ১৫ অক্টোবর পঞ্চগড়-রাজশাহী নতুন ট্রেন চালু  হবে। এটা এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনে দাবি ছিল। নতুন নতুন শিল্প গড়ে তোলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে টেকসই করতে হলে কৃষি শিল্প সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

ইতোমধ্যে দেবীগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হয়েছে। এই অর্থনৈতির অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী ভারত, নেপাল ও ভ‚টানের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ গ্রহণ করতে তিনি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান।   

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট। 

অনুষ্ঠানে জেলা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ বক্তব্য দেন। এসময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও বিসিআইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

বিসিআইসি সুত্রে জানা গেছে, ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ধনীপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের ধারে প্রায় চার একর জমির ওপর ১০ হাজারমেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বাফার গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছে। সেনা কল্যাণ সংস্থা ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই বাফার গোডাউন নির্মাণ করেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ