পঞ্চগড়ের রাঙ্গামাটি বারপাটিয়া-ডাঙ্গাপাড়ার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন সরিয়ে নিতে হচ্ছে বাড়ি-ঘর


কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
 

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়ায় করতোয়া নদীতে রুপান্তরিত হতে চলেছে দুটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি সহ জমাজমি। নদীর পাড় ঘেঁষে  গড়ে ওঠা মানুষের বাড়িভিটা সহ আবাদি জমি ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে। 

সেখানকার জমির মালিকরা জানান ‘ আউলিয়া ঘাটের উত্তরের অংশ ইতোমধ্যে নদীতে পরিনত হয়ে গেছে। এরপর দক্ষিণের অংশের রাস্তা সহ চা বাগান অন্যান্য ফসলি জমি সহ বসতবাড়ি ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। ভেঙ্গে পড়া সীমানায় বসে বাড়ির কাজকর্ম  করছেন পরিবারের নর-নারীরা তাদের চোখে মুখে হতাশের চিহ্ন। ওদের খবর কেউ রাখেনা। 

সরজমিনে দেখা যায় ‘ মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের পশ্চিমদিকের দক্ষিণ পাড়টি ক্রমশ; ভেঙ্গে পড়ছে। এছাড়া ঘাটের পাশে গড়ে ওঠা দোকান-ঘর নদীতে এর মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘাট এলাকার দোকান মালিক সফিকুল(৬৯) জানান ‘তিনি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে দুটি ছোট দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন। এরই মধ্যে তার জায়গাটি ভেঙ্গে পড়ায় দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। 

ভেঙে পড়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সবাজ উদ্দীন(৬০) জানান ‘ ডাঙ্গাপাড়ার প্রায় ৫০ বিঘা জমি নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। চা বাগান ও ইউকিলিপটার্স সহ নানা জাতের গাছ নদীতে তলিয়ে যায়। ডাঙ্গাপাড়া এলাকার জমিতে চা বাগানের মালিক মাড়েয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান প্রধান বলেন,  

তাদের চার ভাইয়ের চা বাগান রয়েছে ‘ এর মধ্যে এক একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চা বাগানের মোট জমির পরিমান ৩০ বিঘা। করতোয়ার উত্তরে তাদের জমি ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে’।

তিনি আরো বলেন ‘ পাশের গ্রাম রাঙ্গামাটি বারপাটিয়া গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার ঝূঁিকর মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’ পাশে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে’। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়া অনেকে তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে ফেলেছে। 

তারা জানান ‘ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আসে আর দেখে চলে যায় ‘ কিন্তু কোনো কাজ হয়না’। আউলিয়া ঘাটের বালু ইজারাদার আজাদ বলেন‘ যতো তাড়াতাড়ি হোক বাধঁ নির্র্মান জরুরী। না হলে ‘ এসব জমাজমি বাড়ি-ঘর নিশ্চিহ্নস হয়ে যাবে’।

এব্যাপারে মাড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু আনছার মোঃ রেজাউল করিম শামীম বলেন‘ বিষয়টি আপনারা একটু দেখেন লোকজন বড় বিপদে আছে।’

এ বিষয়ে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.  ফয়জুর রহমান বলেন  উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়  ডিপিপি পাঠানো হয়েছে ‘ এ সব অনুমোদন হলে কাজ করা হবে।’ আপাতত: করার কিছু নাই’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ