পঞ্চগড়ে সবজির দামে দিশেহারা মানুষ; বেড়েছে মুসুর ডাল ও সোয়াবিনের দাম


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
 

বাজারে সবজির দাম কমার লক্ষণ আপাতত: দেখা যাচ্ছেনা। এক কেজি পটল ও মুলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।বৃষ্টির অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়িরা। তারা বলছে ‘ পর অবরিাম বর্ষণে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। 

পটল, মুলা ছাড়াও বেগুন বড়বটি, কচু, পুই শাক, লাল শাক, পেপেঁ সহ সব সবজির দাম এখন একশত টাকা ছুই ছুই।গত শক্ররবার পঞ্চগড় বাজারে গিয়ে অনেকে দাম শুনে সবজি না নিয়েই বাসায় ফিরেছেন। অনেকে সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গত মাসে ভারি বর্ষণে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর বাজার যেন নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে।

বড়বটি কিছুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে৪০ টাকা। সেই বড়বটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁেপ ২০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ১৫/ ২০ টাকার স্থলে এখন প্রতি কেজি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা যে লাউ ছিলো ১০/১৫ টাকা সেই লাউ এখন ৩৫/৪০ টাকা, পুই ও লাল শাক ছিলো ২০ টাকা ্েখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি।

আমদানি হওয়ার পরও কমেনি পেয়াঁজের দর। এখনো পেয়াঁজ ৭৫ টাকা থেকে ৮৫ টাকা দরেি বিক্র হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির ফলে সবজির ক্রেতা কমে গেছে। এর কারনে বেড়েছে বয়লার মুরগীর দাম। ১১০ টাকার বয়লার এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এছাড়া দেশী মাছ বাজারে দেখা গেলেও দাম হাতের নাগালে অসেনি। 

টেংরা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, শাটি মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, পুঠি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিক্ষক আবু তালেব ‘ বলেন সবজির দাম শুনে সবজি না নিয়ে চলে এসেছি’। এমন অনেকে সবজি না নিয়েই বাসায় ফিরেছেন’।এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই মুসুর ডাল, সোয়াবিনের দাম বাড়তি দিকে। 

ব্যাবসায়িরা এ জন্য দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়িদের। পঞ্চগড় শহরের গালামাল ব্যবসায়ি রফিকুল বলেন ‘ আমাদের করার কিছু নাই’ ওই দিকে বেড়েছে’। প্রতি কেজি মোটা মসুর ডাল ছিলো ৭০ টাকা। সেই মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। অথচ গত রমজান ঈদের আগে এ ডাল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তারপর ঈদ আসার আগে ব্যবসায়িরা মুসর ডালে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়। 

এরপরে আরেক ধাপে বাড়লো মুসুর ডালের দাম। প্যাকেটজাত একলিটার সোয়াবিন তেল ছিলো একশো টাকা। সেখানে দাম বাড়িয়ে মান ভেদে এখন বিক্রি করা হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা।

এদিকে টিসিবি’র পেয়াজ , চিনি ,মুসুর ডাল ও সোয়াবিন তেল সপ্তাহে একদিন দেওয়া হচ্ছে’। তবে চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।’ টিসিবি’র ডিলার সজীব বলেন‘  সব মিলিয়ে ১৭০০ কেজি পণ্য দেওয়া হয়’। তবে চাহিদা তুলনায় কম’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ