জীবনে দেখি নাই এমন সংবাদ সম্মেলন খালি কাগজ ধরা হাতে আর ছবি তোলো সাথে

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলার  পলাশবাড়ী উপজেলা  যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩০ জন ভুক্তভোগী থানায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করে যে সরকারিভাবে বেকার ভাতার নামে ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মর্মে এই অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগীরা । 

এ বিষয়টি দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম সময়টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য নির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসব সংবাদ প্রকাশের পর আজাদুল ইসলাম কে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সিদ্ধান্ত  মোতাবেক সংগঠনিক শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জড়িত থাকায় ও সংগঠনের ভার্ব মূর্তিক্ষুন্ন করার অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর নির্দেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হাসান খান নিখিল স্বাক্ষরিত পত্রে বহিস্কার করা হয়। 

এরপরেও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান দায়িত্বরত  কর্নধরগণ সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ ঢাকতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশের নিকট গিয়ে নিজেদের দারুন এক ঐক্যবদ্ধতার জানান দিয়েছেন। অথচ বিগত ২০১৩ সালে  জামাত বিএনপির তান্ডবের সময় স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কোন দিন দেখা যায়নি এমন ঐক্যবদ্ধতা।

সে কারণেরই বলতেই হয় এ নাটকীয় সংবাদ সম্মেলনে যিনি উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন সরকার গত ২০১৩ সালে যার বাড়ীতে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলা অগ্নি সংযোগ করা হয়েছিলো সেই দিন কিন্তু বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে এমন ্ঐক্যবদ্ধতা দেখা যায়নি। এছাড়াও আরো যিনি উপস্থিত ছিলেন ।

পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই যুগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি পৌর প্রশাসক আবু বকর প্রধান যিনি বিএনপি জামাতের হামলায় আজও হাতে ক্ষত চিহৃ বয়ে বেড়াচ্ছেন সেদিন কিন্তু এমন ঐক্যবদ্ধতা দেখি নাই আর সেই ঘটনার মামলার বিচার তো হয়নি স্বাক্ষী অভাবে কই সেদিন তো এতো ঐক্যবদ্ধতা দেখিলাম না।  

আরো একজন সর্ব পরিচিত মানুষ যিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব একে এম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ যিনি গতবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থাকা কালে নিজের বাড়ী ঘর ব্যবহৃত সরকারি গাড়ী ও নিজের ব্যক্তিগত গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ ও ককটেল এবং পেট্রোল বোমা হামলা করা হয়েছিলো যে কারণে বাড়ীর মালামাল গুলো পুড়িয়ে গিয়েছিলো আজও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদে সরকারি গাড়ীর পোড়া ধ্বংসবশেষ পড়ের রয়েছে সেসময় এমন ঐক্যবদ্ধতা আপনাদের ছিলো না।

 আরো অনেকেই রয়েছেন যারা এই ঐক্যবদ্ধতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন তাদেরও ঘরবাড়ী বিএনপি জামাত কর্তৃক আগুনে  পোড়ানো হয়েছিলো তাদের বেলা সেদিন এমন ঐক্যবদ্ধতা দেখা যায়নি হাতে গণা কয়েকেজন সুবিধাবাদীদের কারণে, আজও সেই সব সুবিধাবাদীদের কারণেই আবার সাধারণ মানুষের সাথে করা অপরাধ ঢাকতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের আজকের ঐক্যবদ্ধতা দেখে আমার লজ্জা হয় আপনাদের হয় কি না জানিনা । 

শুধু একটি কথা সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এই এলাকায় বিগত সময়ে চলে আসা সন্ত্রাস নাশকতার ঘটনা গুলোর মামলা গুলোতে স্বাক্ষি প্রমাণের অভাবে অনেক মামলা খারিজ হয়ে গেছে যা আমার নিকট দুংখজনক। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের ক্ষুদ্র একজন সৈনিক এ বিষয় গুলো ভেবে আমাকে পিড়া দেয় কষ্ট হয় কলিজ্বায় এই ভেবে  আপনাদের বর্তমান অবস্থা দেখে যে আপনারা আজও সত্য বলা বা প্রতিষ্ঠিত করার সাধারণ চেষ্টা টুকুও করলেন না । 

যাই হোক এটাই আপনাদের রাজনীতি । আপনারা আমার কাছে শুনেন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিলো দেওয়ার নিজের আর পরিবারের জন্য নেওয়ার নয় সেকারণেই আজও বঙ্গবন্ধু বেচে আছেন আমাদের মতো কোটি কোটি ক্ষুদ্র সৈনিকের হৃদয়ে গোটা বাঙ্গালী জাতির সর্বকালের পরিচয় হিসাবে। একটি কথা না বললেই নয় আজও অনেকেই বক্তব্যে মোস্তাক মির্জাজাফরকে গালি দিয়ে থাকেন আপনাদের কাছে প্রশ্ন দলীয় মোস্তাক মির্জাজাফররা আর কতকাল এই সংগঠনটিকে পূজি করে চলবে । 

আর কতকাল অন্যায় কে ধামাচাপা অপরাধকে ধামাচাপা দিবেন। নিজেদের স্বার্থে আঘাত আসলেই যাকে তাকে বিএনপি জামাতের তকমা লাগিয়ে দিবেন।এভাবে আর কত কাল । স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আজ আপনার ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ভালো কথা আমি ঐক্য মানি তবে চোরের ঐক্য মানি না মানবো না। এতো কিছুর পরেও আপনারা পলাশবাড়ী বাসীকে কি বুঝাতে চেয়েছেন ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাই নাই। 

ভুক্তভোগী অসহায় যুবক যুবতিদের পাশে তো দাড়ালেন না । প্রবাদ আছে খায় দায় জোব্বার আর মোটা হয় চান মিয়া। গরিব অসহায় নেতাদের খোজ খবর নেননা আর কোটিপতি  প্রতারকের অপরাধ ঢাকতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পূজি করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগকে স্থানীয় ভাবে দূর্বল আর কলঙ্কিত করছেন । 

সাধারণ জনগণ আপনাদের এমন কর্মকান্ডে হতবাক তারা ধিক্কার দিচ্ছে ছি ছি করছে তা আপনাদের চোখে পড়ে না আর জানি কখনো পরবেও না। আপনারা কি চোখে রঙ্গীন চশমা পড়েছেন। এর মুল্য একদিন স্থানীয় আওয়ামীলীগ কে দিতে হবে হয়তো সেদিন আপনাদের এমন ঐক্যবদ্ধতা থাকবে না । আর ধীরে ধীরে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভ হতে জন্ম নেওয়া জনরেস হতে কেই রেহাই পাবেন না তা অবশ্যই সত্য হবে হবে।

জানি আজকের এ কথা গুলো প্রকাশ পাওয়ার পর আমার মতো ক্ষুদ্র লেখক সাংবাদিক প্রতিবাদিকে কাল হয়তো হাসপাতালে না হয় জেলে যেতে হতে পারে তবুও সত্য বিষয় গুলো তুলে ধরতে পারলাম এটাই আমার সার্থ্যকতা। আজকে আমাকে লজ্জা লাগে গণমানুষের দলের লোক হয়ে গণমানুষের সাথে প্রতারণা করার এতো প্রমাণ থাকার পরেও সেই দলের নামি দামী নেতা গুলো কিভাবে এ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ও ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে । 

এর অর্থ এই আরো অনেক না জানা অপরাধ ঢাকতে আজকে এই কথিত ঐক্যবদ্ধতায় সুসংঘটিত হচ্ছেন ভালো চালিয়ে যান আর আমি যদি হায়াতে বেচে থাকি থাহলে শেষ পর্যন্ত খেলা চলবে সত্য আর মিথ্যার ।

যে টা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেই কথায় আসি  তা হলো , জীবনে দেখি নাই এমন সংবাদ সম্মেলন খালি কাগজ ধরো হাতে আর ছবি তোলো সাথে:: এমন একটি ঘটনা ঘটলো পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে যেখানে নাটকীয় এক সংবাদ সম্মেলন সম্পাদনা করা হলো ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে। 

উপজেলা আদি সাদি পাদি কিছু চশম খোর সাংঘাতিকদের দিয়ে। যে সংবাদ সম্মেলনে, সংবাদ সম্মেলনকারীর কোন বক্তব্য লাগে না খালি কাগজ হাতে দাড়িয়ে ছবি পোজ দিলেই হয়। যেখানে কোন প্রশ্ন করা তো দুরের কথা ছবি তুলতে পারলেই হয় তাহলেই মিলবে সাংঘাতিক বাবুদের হাতে সম্মেলনকারী দেওয়া টাকা। 

আহা কত সাধ নপকা পাওয়া টাকায় সংবাদ এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ জন স্থানীয় সাংবাদিক যাদের হাতে ৩ শত করে টাকা ও এক সংবাদ সম্মেলনের ২ টা সম্মেলনের বক্তব্যে দুই মতো দুটা কপি । যার একটিতে স্থান ও আজাদুল ইসলামকে নিয়ে কথিত হয়রানি কারীদের নাম ছাড়া ও তাহার ছোট ভাইয়ে নাম পদবি  ছাড়া এবং অপরটিতে স্থান ও কথিত হয়রানীকারীদের নাম দেওয়া আর নিজের আপন ছোট ভাইয়ে নাম পদবি যুক্ত করা। 

এখানে আরো একটি মজার বিষয় রয়েছে যে তাহার ভাতিজা ভাগিনারাও বিভিন্ন সংগঠন করে ভাগ্য ভালো তাদের পদ পদবি ও নামের কথা কেউ মনে করে দেয়নি মনে হয়। তবে মনে করে দিলে বা আরেকবার কাগজ সংশোধনী করার সময় পেলে অবশ্যই মনে হয় তাদের নামটাও  সংযুক্ত হতো । সাংঘাতিকদের ৩ শত টাকা করে দেওয়া হলেও আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৩ শত টাকা যার ২ টা ৫ শত টাকার নোট আর তিনটা ১ শত টাকার নোট । 

আর সংবাদ সম্মেলনের দ্বিতীয় কপি ।গতকাল মঙ্গলবার আমার গ্রামীন ব্যাংকের কিস্তি দিতে পারি নাই  এটাকা হাতে পাওয়ার পরে মনে হলো কত দিন দেখিনা তোমায় বন্ধু গানটা মনে পড়ে গেলো তাই লিখতে বসলাম। অপরাধ ক্ষমা করবেন। টাকা হাতে না নিয়ে উপায় নেই কারণ না নিলে হয়তো এটা লেখার সুযোগ আমার জীবনে থাকতো না।

এমনি একটি নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে ২ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাত ৯ টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত  উপজেলা আওয়ামীলীরে দলীয় কার্যালয়ে এসময় পলাশবাড়ী উপজেলা  আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর প্রধান ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন সরকার,

উপজেলা আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদশা, সহ সভাপতি এনামুল হক মকবুল,সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা,সাধারন সম্পাদক  উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম লিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নির্মল মিত্র, 

কৃষি বিষয় সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,সদস্য এসএম ফজলে রাব্বি, সদস্য সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ,কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহাবুব প্রধান,মহদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউজ্জামান খোকন, জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সাবু,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদ ,তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকলাইন মাহামুদ সজিবসহ উপজেলার কথিত নামীদামী ৩৫ জন সাংবাদিক।

উল্লেখ্য,গত আগস্ট মাসের আগে হতে গুণজন পর  আগস্টের শেষ সপ্তাহ হতে জোড়ালোভাবে কয়েকদিন ধরে লাগাতার পলাশবাড়ীতে সরকারিভাবে বেকার ভাতা পাইয়ে দেওয়ার  নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্যনির্ভর সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় পর নিজেকে নির্দোষ দাবী করে  ও মিডিয়ায় এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যলায়ে নাটকীয় সংবাদ সম্মেলনের সম্পাদন করা হলো। 

উপরোক্ত বিষয়ের উপরে এখানে কারো নিকট মন্তব্য নেওয়ার প্রয়োজনীতাবোধ না করায় কারো মন্তব্য দিতে পারিলাম না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ