ঠাকুরগাঁওয়ে আমব্যবসায়ী খুনের রহস্য উন্মোচনে জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

মেহেদী  হাসান, ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আম ব্যাবসায়ী হত্যাকান্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পুলিশ। বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের কার্যলয়ের সভাকক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন। 

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু তাহের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার মোসফেকুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-১) নাজমুল আলম, পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদিপ কুমার রায়, 

সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী সহ জেলার অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মূলত সুদের টাকাকে কেন্দ্র করে খুন হন ব্যাবসায়ী আশরাফ আলী। 

প্রযুক্তির ব্যাবহারের মাধ্যমে আমরা গত ৩ দিনে এ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি এবং হত্যাকান্ডে লাশ বহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছি যা বর্তমান পীরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের যাতায়াতের কাজে ব্যাবহৃত হয়ে আসছিলো। 

আমরা আরো জেনেছি যে হত্যাকারী সাদ্দাম পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করে আসছিলো। ঘটনার দিন আশরাফ আলী উপজেলা ভবনের নীচ তলায় একটি কক্ষে অবস্থানকৃত সাদ্দামের কাছে সুদর টাকা আনতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। 

সাদ্দাম তাকে রড ও কাঠের টুকরা দিয়ে ঘাড়ে এবং শরিরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে ও পরে গলা টিপে হত্যা করে। তার এ কাজে তাকে সহযোগীতা করে বেলাল হোসেন ও রোকনুজ্জামান নামের দুই বন্ধু। সাদ্দাম তাদের এ কাজে সহযোগীতার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। 

হত্যার পর সাদ্দাম ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত জীপ গাড়িতে লাশ তুলে ফকিরগঞ্জ-গোগর এলাকার পাঁকা সড়কের খট্শিংগা নামক স্থানে লাশটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, 

পীরগঞ্জ উপজেলার ভাবদা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২), একই উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের দরমিয়ান আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (২৩), ওই উপজেলার জগথা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রোকনুজ্জামান (২৩)। উল্লেখ্য , গত ১৩ জুলাই পীরগঞ্জ উপজেলা ভবনের নীচ তলার একটি কক্ষে হত্যার শিকার হন আশরাফ আলী এবং ফকিরগঞ্জ-গোগর এলাকার পাঁকা সড়কের খট্শিংগা নামক স্থানে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 


এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বড় ভাই জহরুল হক বাদি হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ