চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুরঃ
চাঞ্চল্যকর মাদ্রাসা শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামী তার স্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষিকা সুইটি ইয়াসমিনসহ ৩ আসামীর রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রিমান্ডে আরিফকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সুইটিসহ অপর আসামীদের রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তবে তথ্যগুলো তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করছে না পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দিনাজপুর সদরের উথরাইল মোল্লাপাড়া এলাকায় আমজাদ হোসেনের ভাড়া বাড়িতে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় শালকী আলিম মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক আরিফুল ইসলাম আরিফকে।
হত্যার পর তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে লাশের ময়না তদন্ত এবং প্রাথমিক তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর নিহত আরিফের বাবা আবু বকর সিদ্দিক ৪ জনকে আসামী করে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং-জি.আর-১০-১২৬৯, তারিখঃ ০৫/১২/২০১৯ইং। এরপর ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী নিহত আরিফের স্ত্রী ও উথরাইল কামিল মাদ্রাসার প্রভাষিকা মোছাঃ সুইটি ইয়াসমিন, তার মা স্বপ্না বেগম ও বাবা ইউনুস আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অপর আসামী সুইটির ভাই আসাদুল ইসলাম সুমন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরিফ হত্যার পূর্বে ১৮ অক্টোবর বিকেল ৫টায় আরিফের বাড়িতে আসে তার শ্বাশুড়ী স্বপ্না বেগম ও শ্যালক আসাদুল ইসলাম সুমন।
ঘটনার সন্ধ্যা রাতে তাদের বাড়িতে মার-ডাং ও চিল্লাহাল্লার শব্দ শুনেছে এলাকাবাসী। এজাহারে আরো জানানো হয়, পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় আরিফকে তার স্ত্রী ও শ্যালক-শ্বাশুড়ী মিলে হত্যা করেছে। গ্রেফতারকৃত সুইটিসহ অপরাপর আসামীদের রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে এজাহারের এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে বলে পুলিশের একটি সুত্র জানায়।
0 মন্তব্যসমূহ