মেহেদী হাসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় মৃত্য কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ কারিদের দাফন করে প্রস্তুত ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন ।এযাবৎ তিনজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ কারিদের দাফন কার্য সম্পন্ন করেছে
বলে জানান ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশনের প্রধান মাওলানা আব্দুল মুকিত ও সহকারী টিম
প্রধান হাফেজ আবরারুল হক রোহান । মঙ্গলবার
সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্য পীরগঞ্জের ভেলাতৈর ভদ্রপাড়া রমায়ুন কবীরের (৪৯) দাফন কার্য সম্পন্ন করেন ।তিনি ঈদের দুই দিন আগে অসুস্থ্য হোন পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন সেখানেই মৃত্যুবরণ
করেন পরে তার পরিবার তাকে গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসেন । তিনি রেনোটা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে ফ্যাক্টরি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন । এছাড়াও
গতকাল সোমবার করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত একজন রিটায়ার্ড আর্মির লাশের দাফন-কাফন সম্পন্ন করেন সেচ্ছাসেবি সংগঠন ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডশনের ঠাকুরগাঁও জেলা টিম।এটি এ টীমের দ্বিতীয়
দফার লাশ দাফন কার্য । তিনি
চট্টগ্রামে ব্যবসা করতেন তাই পরিবার সহ চট্টগ্রামে থাকতেন।সেখানে
তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।চট্টগ্রাম থেকে তার লাশ গ্রামের নিজ বাড়িতে আনলে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয় বলে জানান জেলা টীমের সদস্যরা। এসময়
সহকারী টিম প্রধান হাফেজ আবরারুল হক রোহান বলেন,ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশনের কাছে সোমবার সকাল ১১টায় বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিন সাহেব কল করে দাফন
কাফনের প্রস্তুতি নিতে আমাদেরকে জানান।বিকেল চারটায় নোহাতে করে বালা পাড়া স্কুলে যাই ৷ সেখানে প্রথমে
আসরের নামাজ আদায় করে পিপিই , হ্যান্ড গ্লোভস, সার্জিকাল মাস্ক পরিধান করে দাফনে চলে যাই।নামাজ পড়ে মাইয়্যেতকে গোসল করায় কাফন পরিধান করানোর পরে দাফন কার্য সম্পন্ন করি ৷ তারপরে পিপিই
সহ যাবতীয় সরাঞ্জামাদি পূর্ণ সতর্কতার সাথে খুলে পুরিয়ে ফেলানো হয় ৷অনেক দূরর্তে
দাড়িয়ে জানাযায় অংশ নেন মরহুমের চাচা শশুর চেয়ারম্যান বনি আমিন সহ এলাকাবাসীর কিছু
মানুষ। এছাড়াও
২৯ মে সদর উপজেলায়
করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্য নারীর দাফন কার্য সম্পন্ন করেছেন
ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন ।এটি এ টীমের প্রথম লাশ দাফন কার্য । নেতৃত্ব
দেন টিম প্রধান মাওলানা আব্দুল মুকিত ও সহকারী টিম
প্রধান হাফেজ আবরারুল হক রোহান ইমাম
বায়তুল আমান জামে মসজিদ।করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মৃতদেহের জানাজা নামাযের ইমামতি করেন হাফেজ হাবিবুর রহমান ,আরো সহযোগী হিসাবে ছিলেন হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মো: সাহিদুল হক সাহিদ, ক্যামেরা
ছিলেন মাও: ইসমাইল বিন হায়দার ৷ এছাড়াও
জেলার সকল করোনায়
মৃত্য কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ কারিদের দাফন করে প্রস্তুত ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন ।
0 মন্তব্যসমূহ