ডোমারের লিটন আপনার সহযোগীতায় ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়!

রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:  দিন মজুর পিতার অভাব অনটনের সংসারে বেড়ে উঠা অদ্যম মেধাবী ছাত্র চলতি মাধ্যমিক পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও বিষন্নতায় ভূগছেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দিন মজুর পিতা আব্দুর রহিমের ছেলে লিটন ইসলাম।
দেশের চলমান করোনা সংকটে কর্মহীন হয়েপড়া দিন মজুর বাবার অর্থ সংকটে আগামীর ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্ন বুনতে যাওয়া হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। জিপিএ-৫ পাওয়ার পরেও নতুন কলেজে ভর্তি, খাতা কলম, পোশাক, কলেজের বেতন কিভাবে হবে এমন ভাবনায় পরিবারে কারো মুখে হাসি নেই। হয়তো এভাবেই নিভে যেতে পারে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের স্বপ্নের আলো। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার সোনারায় দোলাপাড়ার আব্দুর রহিমের দ্বিতীয় ছেলে লিটন ইসলাম। চরম দারিদ্রতার মাঝেও লেখাপড়ায় প্রবল আগ্রহ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চলতি এসএসসি পরিক্ষায় সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। সে জেএসসি  ও পিএসসিতে জিপিএ-৫ সহ ট্যানেলপুলে বৃত্তি পেয়েছে। মা বাবা ও তিন ভাই মিলে পাচঁ সদস্যের সংসার তাদের। তার বাবা দিন মজুর, বড় ভাই নিমার্ণ শ্রমিক, বড় ভাইয়ের সাথে নিজেও সে নিমার্ণ শ্রমিকের কাজ করে নিজের লেখাপড়া ও সংসারে বাবাকে সহযোগীতা করে। তার লেখাপড়ায় ও একাডেমিক পরিক্ষার ফলাফলে অধ্যায়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় আলোচিত ও প্রশংশিত। এতোটাই মেধাবী সে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় সকলের ভালোবাসার পাত্র সে। তার শিক্ষাগুরুরা গর্বের সাথে সর্বদা সাফল্য কামনা করে দোয়া করেন। তাদের দোয়া ও অনুপ্রেরনা পেয়ে এতোদূরের পথচলা লিটনের। কিন্তু এই বাস্তবতায় অর্থের সাথে যুদ্ধ করে কতদূর অগ্রসর হতে পারবে লিটন? পরিকল্পিতবাতার্র নিজস্ব প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় লিটনের। লিটন জানায় “ছোটবেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন লালন করে নানান বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে এসেছি। আমার খুবই ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে সমাজের মানুষের পাশে দাড়ানোর। কিন্তু আল্লাহ ভালো জানেন আমার এই স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে। ”লিটনের বড়ভাই লিমন জানায়, অনেক মেধাবী হওয়ার সত্ত্বেও অর্থের কারনে হয়তো আর আমরা তাকে লেখাপড়া করাতে পারবো না। তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, পড়াশুনার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করা তার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর অর্থের অভাবেই হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্নটা বাস্তব রুপ লাভ করতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সমাজের কোন স্ব হৃদয়বান ব্যাক্তিদের আর্থিক সহযোগিতাই তার ছেলের  স্বপ্নের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে পারে। তার বাবা-মা ও ভাই সমাজের স্ব হৃদয়বান ব্যক্তিদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে আহ্ববান করে বলেন, লিটনকে আপনাদের নিজের সন্তান ভেবে তার অন্তনিহিত প্রতিভাকে কাজে লাগানোর সুযোগ করার মাধ্যমে একজন বড় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ করে দিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ