বীরগঞ্জের আত্রাই নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন আগুনে জ্বালিয়ে ধ্বংস

মোঃ নাজমুল হোসেন, দিনাজপুরঃ 
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ঝাড়বাড়ী-জয়গঞ্জ আত্রাই নদীরখেয়া ঘাটে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছে। 

উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী হাট-জয়গঞ্জ এলাকায় আত্রাই নদীর খেয়া ঘাটের নদীতে সোমবার বিকেলে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ১টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ডালিম সরকার আত্রাই নদীতে অভিযান চালিয়ে নদীর খেয়া ঘাটে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ১টি ড্রেজার মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ডালিম সরকার জানান, সরকারের নীতিমালা অমান্য করে অবৈধ উপায়ে আত্রাই নদীতে গর্ত করে বালু উত্তোলনের বিষয়টি নজরে আসে। 

আমি নিজে গিয়ে ড্রেজার মেশিন বসানো আছে দেখেছি, পরে ১ টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশ ও নদীর তীর রক্ষায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


এদিকে প্রশাসনকে কোন তোয়াক্কা না করে বীরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বালু মহল এবং খানসামার গোবিন্দপুর বালু মহলে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চলছে। কাশিপুর বালু মহলটি বীরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন হলেও বালু উত্তোলন চলছে খানসামা উপজেলা এলাকায়। 


সেই ইজারাদার এবং তার সাথে অবৈধভাবে যুক্ত থাকা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও টাউট প্রকৃতির ব্যক্তি খানসামা গোবিন্দপুর বালু মহলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু মহলটি এবার সরকার কোন ইজারা প্রদান করেনি।

তারপরও চলছে,ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। শুধু তাই নয়, একমাত্র মহা সড়কে চলাচলে অনুমোদন প্রাপ্ত ১০ চাকার ভারি যান (ট্রাক) এই বালু বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে এলাকার রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। 

চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরছে,খানসামা উপজেলার রাস্তা-ঘাট।এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তার গতিপথ হারাচ্ছে। বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের। জীব-বৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদীতে চোরাই খাদ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে গোসল করতে নেমে এই চোরাই খাদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। 

এলাকার সচেতন মানুষ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা লেন-দেন হচ্ছে। এই টাকা প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিসহ বিভিন্ন জনের কাছে চলে যাচ্ছে। 

যে কারণে এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ