রাজাকারের আর্শিবাদে তিনি

আঃ মতিন সরকার, স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধাঃ 
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার পাশাপাশি নিয়মিত ছাত্র হিসাবে সনদ অর্জন করার অভিযোগ উঠেছে রাজাকারে আর্শিবাদ পাওয়া মাদ্রাসার এক ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে। 

জানা যায়, ১৯৮৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের বজরা কঞ্চিবাড়ী মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল ক্বারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন শহিদুল ইসলাম। 

মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের ছুটি ছাড়াই নিয়মিত ছাত্র হিসাবে ১৯৮৭ সালে ফাজিল ও ১৯৯৩ সালে কামিল সনদ অর্জন করেন তিনি। 

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য ও ইউনিয়ন শাখার গুরুত্বপূর্ন পদে থাকার কারণে ২০০৪ সালের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তৎকালিন সংসদ সদস্য কুখ্যাত রাজাকার মানবতা বিরোধি অপরাধের মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাওলানা আব্দুল আজিজের আর্শিবাদে বিধি পরিপন্থি ভাবে সহসুপার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। 

২০১৮ সালে সুপারে পদ শুণ্য হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরবর্তীতে অদৃশ্য শক্তিকে ম্যানেজ করে গোপনে সুপার পদ লাভের অপচেষ্টায় নিপ্ত হলে নিয়ম বহিঃভূতভাবে শিক্ষা সনদ অর্জনের বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হয়। 

এলাকাবাসীর পক্ষে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সদস্য মাওলানা শহিদুল ইসলামের ফাজিল ও কামিল সনদ বাতিল ও উত্তোলিত বেতন ভাতা ফেরতের নির্দেশ এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ