পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে পার্সেল ট্রেনের উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী


মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়:
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতে কৃষি পণ্য পরিবহণ সুবিধার্থে পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে বিশেষ পার্সেল ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকামূখী বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন, রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। পণ্যবাহী বিশেষ এই ট্রেনটিতে কোন যাত্রী পরিবহণ করা হবে না। ট্রেনটি উভয় পথে রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, জয়পুরহাট, আক্কেলপুর, সান্তাহার, আহসানগঞ্জ, নলডাঙ্গারহাট, নাটোর, মুলাডুলি, লাহিড়ীমোহনপুর এবং তেজগাঁও রেল স্টেশনে মালামাল উঠানো নামানোর জন্য যাত্রা বিরতি করবে। পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে শনি সোম বুধবার বেলা একটায় ছেড়ে রাত দুইটায় ঢাকায় পৌঁছবে। আবার ঢাকা থেকে রবি, মঙ্গল বৃহস্পতিবার রাত চারটায় ছেড়ে বিকাল পাঁচটায় পঞ্চগড় পৌঁছবে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পঞ্চগড় থেকে এবং শনিবার ঢাকা থেকে ট্রেনটির চলাচল বন্ধ থাকবে। পর্যাপ্ত বুকিং সাপেক্ষে স্পেশাল এই ট্রেনটি চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাতে কয়েকটি রুটে পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়েছে। তিনি পঞ্চগড় থেকেও পণ্য পরিবহনে তাগিদ দেয়ায় ব্যবসায়ীদের সাথে সংশ্লিষ্টরা আলোচনা করে পঞ্চগড় থেকেও এই ট্রেন চালু করা হলো। নির্ধারিত যে কোন স্টেশন থেকে পার্সেল বুক করা যাবে। এটি পঞ্চগড় থেকে যাত্রা শুরু করে কয়েকটি স্টেশনের পণ্য নিয়ে ঢাকায় পৌঁছুবে। মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের স্বার্থে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সুবিধা নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এতে করে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল নিশ্চিত হবে। প্রথম দিনেই ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ টন টমেটো শুকনো মরিচ বিনামূল্যে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড়- আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনের ব্যবস্থাপক তাপস কুমার দাশ, ডিভিশনাল ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) স্নেহাশীষ দাশ গুপ্ত, ডিভিশনাল প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন প্রমূখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ