মিজানুর রহমান মিলন স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পোলট্রি শিল্প। আর নীলফামারীর সৈয়দপুরেও পোল্ট্রি শিল্পে এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মক ভাবে। ফলে পোলট্রি ব্যবসায়ীরা আর্থিক প্রণোদনা চেয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আজ রবিবার দুপুরে সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়। সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিতে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন।ওই স্মারকলিপিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার কথা বলা হয়। এ সময় তিনি সংগঠনটির দেওয়া স্মারকলিপিটি যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছানো হবে বলে জানান। স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনটির স্থানীয় সভাপতি পলাশ পোল্ট্রি ফিডের মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মেসার্স হিমেল ট্রেডার্সের মো. আতিয়ার রহমান, কোষাধ্যক্ষ মীম পোল্ট্রি ফিডের মো. মনজুরুল ইসলাম, সদস্য মেসার্স সূচনা এন্টারপ্রাইজের মো. মিজানুর রহমান লিটন ও সঞ্জিদা পোল্ট্রির মালিক মো. ইমতিয়াজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সারাদেশের মতো সৈয়দপুর উপজেলার প্রায় তিন শত পোল্ট্রি খামারীরা তাদের খামারে ডিম ও মুরগী উৎপাদন করে দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করাসহ খামারীদের খামারে বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত মুরগীর বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করে আসছিলেন সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলাররা। কিন্তু চলমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বর্তমানে পোল্ট্রি ব্যবসায় ধস নেমেছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তাদের দোকানপাট বন্ধ থাকায় ডিলাররা সময়মতো পোল্ট্রি খামারীদের পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করতে পারেননি এতে খামারে ডিম ও মুরগী উৎপাদন ব্যহত হয়। এছাড়া খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগী যথাসময়ে বিক্রি করতে না পেরে উৎপাদিত ডিম নষ্ট এবং মুরগীও মরে যায়।
ফলে করোনা পরিস্থিতিতে খামারে উৎপদিত ডিম ও মুরগী কমমূল্যে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ কারণে পোল্ট্রি ডিলার ও খামারীরা মারাত্মক ক্ষতি সম্মূখীন হয়েছেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকার বেশি হবে। যদিও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও বর্তমান অবস্থায় তারা অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকও তাদের আর ঋণ সুবিধা দিবে না। এ অবস্থায় তাদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারেে কাছে প্রণোদনার দাবি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ