কুড়িগ্রামে ৫ টাকা কেজি ঢেঁড়সেও মিলছে না ক্রেতা


মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামঃ চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে কুড়িগ্রাম  সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাট যেন ক্রেতা শুন্য। স্থানীয় কৃষকসহ  বিভিন্ন জায়গা থেকে চাষীরা তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি নিয়ে এসে এই হাটেই বিক্রি করেন। কিন্তু ক্রেতা সংকটের কারনে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারজাত করতে না পারায় ঢেঁড়স নিয়ে লসের অাশঙ্কায় ঢেঁড়স বিক্রেতারা। বর্তমান এখানে কেজি ঢেঁড়স ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে হতাশায় ভুগছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঢেঁড়স চাষীরা। মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ঢেঁড়স চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৪৮হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ১৪৫ হেক্টর জমিতে। যাত্রাপুর হাটের ব্যবসায়ী  মোঃ ফেরদৌস মিয়া বলেন, ঢেঁড়স টাকা কেজিতে বিক্রি করছি তাও মানুষ নিচ্ছে না। হাটে মানুষের উপস্থিতিও কম। বিভিন্ন প্রকার সবজির পর্যাপ্ত আমদানি থাকায় ঢেঁড়সের চাহিদা কম। মানুষ আর ঢেঁড়স খাচ্ছে না। এই হাটে আমজাদ হোসেন নামের এক ঢেঁড়স চাষীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঢেঁড়স খুচরা বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছি। ঢেঁড়স খুব কম বিক্রি হচ্ছে। তাই চাহিদা কম থাকায় শেষ পর্যন্ত পাইকারের কাছে টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ঢেঁড়সের মৌসুম শেষের দিকে চলে আসছে আর রমজান মাসে বাজারজাত হচ্ছে না কারণেই দামটা কম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ