মাদকসেবনে বাঁধা দেয়ায় সৈয়দপুরে দাখিল পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

মিজানুর রহমান মিলন স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাদকসেবন না করতে বাঁধা দেয়ায়  বাবা মা'র ওপর অভিমান করে আতিকুর রহমান (১৫) নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থী গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর তালতলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলা বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্বাষকান্দর তালতলাপাড়ার কৃষক মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে আতিকুর রহমান (১৫) একই এলাকার শ্বাষকান্দর সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবারে (২০২০ইং সাল) দাখিল পরীক্ষা অংশ নিয়েছে। আর এরই মধ্যে সে মাদকসেবনের মাধ্যমে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে। এ জন্য তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম তাঁকে মাঝে মধ্যে শাসনও করতো। কিন্তু শাসন না মানায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরইমধ্যে গত ২৫ মে সে (আতিকুর) শ্বাষকান্দর তালতলাপাড়া জামে মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে ইমামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসে। পরে এ ঘটনাটি জানতে পেরে আতিকুরের বাবা রফিকুল ইসলাম মসজিদের ইমামের মোবাইল ফোনটি তাকে ফেরত দিয়ে আসেন। এ ঘটনায় বাবা রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে আতিকুরের মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর থেকে তাঁর বাবাসহ পরিবারের লোকজন আতিকুরকে কড়া নজরদারিতে রাখা শুরু করে। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার আতিকুর  রাত ৯ টার দিকে রাতের খাওয়া শেষে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর দাদী শাহনাজ পারভীন  নাতি আতিকুরকে ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু সে ঘুম থেকে না উঠলে তিনি আতিকুরের ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে তাকে ঘরের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাঁর চিৎকারের রফিকুল ইসলামসহ বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুঁটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু ঘটে। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা উপ-পরিদর্শক মো. সাহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরবর্তীতে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আতিকুরের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ