কৃষি কাজে নারীরা এগিয়ে মজুরিতে বৈষম্য


আঃ মতিন সরকার  গাইবান্ধা  প্রতিনিধিঃ ধান কাটামাড়াই, সিদ্ধ করা, ধান, খড় শুকানো, গোলাঘরে উঠনোসহ নানাবিধ কৃষি কাজে এখন নারীরা এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত মজুরি বৈষমের শিকার হচ্ছে তারা। করোনা পরিস্থিতির কারনে বর্তমানে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দিন মজুর সংকটে নারীরাই ক্ষেত খামারে বেশি কাজ করছে। চলতি ইরিবোর মৌসুমে উপজেলায় পুরোদমে কাটামাড়াই শুরু হয়েছে। একদিকে করোনা ভয় অন্যদিকে পবিত্র মাহে রমজান মাস সবমিলে ক্ষেতের ধান নিয়ে অনেকটা বিপাকে কৃষকরা। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে দেশের ভিন্ন জেলায় কমপক্ষে হাজার দিনমজুর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ধানকাটার জন্য পাঠানো হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অনেকে নিজ এলাকায় ফিরতে পারছে না। সে কারনে অনেকটা হতাশায় উপজেলার কৃষকরা। কথা হয় শান্তিরাম ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মাজেদ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতির কারনে তার এলাকার অনেক দিনমজুর দ্বিগুন মজুরি পাওয়ার আশায় এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। দিনমজুররা ভাবছিল ফিরে এসে নিজ এলাকায় কাজ করবে। কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আসতে পারছে না। তিনি বলেন সে কারনে ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে কৃষকরা চিন্তায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন এখন নারী শ্রমিকরা ভরসা। একজন নারী শ্রমিককে দিনমজুর দিতে হয় ২৫০ হতে ৩০০ টাকা এবং পুরুষ শ্রমিককে দিতে হয় ৩৫০ হতে ৪০০ টাকা। এছাড়া একবিঘা জমির ধান কাটামাড়াইয়ে দিতে হচ্ছে হাজার হতে হাজার টাকা। নারী শ্রমিক জেলেখা বেওয়া জানান করোনা ভাইরাসের কারনে বাহিরে না যেতে পারায় এলাকায় কৃষি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন কৃষকরা তাদেরকে মজুরি কম দিচ্ছে। কেন মজুরি কম দিচ্ছে তা জানা নেই নারী শ্রমিকদের। তবে অনেক কৃষকের দাবি নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে কম কাজ করে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা- মাহমুদ জানান বর্তমানে নারীরাই কৃষিকাজ বেশি করে। পুরুষরা বিভিন্ন কাজে বাহিরে থাকে সে কারনে নারীরা কৃষিকাজে এগিয়ে রয়েছে। তবে মজুরি পুরুষের চেয়ে একটু কম পাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ