গুরুদাসপুরে জলাবদ্ধতায় ১৮ বছর ধরে জমির চাষাবাদ বন্ধ

মো:জালাল উদ্দিন,গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.                                                                 
রফিকুল ইসলাম সরকার। পিতা মৃত নফিজ উদ্দিন সরকার। ১৮ বছর আগে বগুড়া গাবতলী উপজেলা থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পাঁচপুরুলিয়া গ্রামে এসে সাড়ে পাঁচপুরুলিয়া মৌজা ৫বিঘা জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয় করার বছর থেকেই কোন সময় জলবন্ধতার কারনে চাষাবাদ করতে পারেনি। অভাবের সংসারে দীনমজুরের কাজ করে কোন রকম সংসার চলে। ওই জমি টুকু চাষাবাদ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যার্থ কৃষক রফিকুল। ১৮ বছরের জলবদ্ধতা তার সেই সেই সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়েছে। জমিতে এখন শুধু কচুরি পানা দিয়ে ঢাকা। জমিটি ক্রয় করার পর থেকে এই ফসলি জমিতে কোন ফসল হয়না।  
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া মৌজার ৮৯ নং দাগ নম্বরের জমির পাশে আগেই সবাই পুকুর খনন করেছে। যার ফলে তার জমিটি মধ্যে পড়েছে।
ওই জমি নিচু স্থানে হওয়ায় সেখানে জলবদ্ধতা লেগেই থাকে। পাশে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করার কারনে পানি নামতে না পারায় সেখানে চৈত্র মাসেও পানি শুকায়না। ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে থাকে। নিজের জমিতে কোন চাষাবাদ না করতে পেরে সদস্যর পরিবারে সুখ-শান্তি হারিয়ে গেছে।
পুরুলিয়া গ্রামের সুরুজ আলী জানান, কৃষক রফিকুল ইসলামের জমিতে প্রায় ১৮ বছর ধরে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে আছে। যার কারনে তাদের পরিবারে অভাব লেগেই থাকে। সব সময় পরিবারে লোজজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। ছেলে-মেয়েদের ঠিকমত পড়াশোনা করাতে পারছেনা।
ভুক্তভুগি রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, নিজ এলাকার কিছু জমি বিক্রি করে এখানে এসে এই জমিটি ক্রয় করেছিলাম। জমি ক্রয় করার বছর থেকেই চাষাবাদ করতে পারছিনা। সব সময় পানি থাকে। পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা মহাবিপদে আছি। এখন কেমনে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলি। সেটাই বুঝতে পারছিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ