বাঁকখালী নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে অভিযান, সরঞ্জাম সহ আটক ২

মোঃ মনছুর আলম (এম আলম):
দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরের গোদারপাড়া অংশের বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে ওই বালি আবার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গোলাম রব্বানী এন্টারপ্রাইজ লিঃ। ড্রেজিংকৃত বালি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ হলেও চিহ্নিত মহল তা অবজ্ঞা করে আসছিল। স্থানীয় সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের মুল হোতা একই এলাকার মোহাম্মদ এর পুত্র ফজলুল্লাহ সহ আরো কয়েকজন। বালি সিন্ডিকেটের এরূপ অপকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ পেয়ে গতকাল (সোমবার) সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহারিয়ার মোক্তার এর নেতৃত্বে প্রশাসন অভিযানে গিয়ে ২ ব্যক্তিকে হাতেনাতে ড্রেজারমেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম সহ আটক করে তা ঘটনাস্থলেই পুড়ানো হয়। এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে বালি সিন্ডিকেটের হর্তাকর্তারা লাঞ্চিত করেন। পরে অভিযানে আটকদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেখার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকেও ভবিষ্যতে এরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়।

তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মামুন জানান, তার প্রকল্পে ড্রেজিং এর মাধ্যমে উত্তোলিত বালি ব্যবহারের বিষয়টি পুরোপুরি স্বীকার করতে চান নি। তবে তিনি কিছু পরিমাণ বালি প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহার হয়েছে। তাছাড়া সরকারের বিধি নিষেধের বাইরে তার প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার কাজ করবে না বলে জানান।

এব্যাপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও খন্দকার আলী রেজা বলেন, সিডিউলে উল্লেখ রয়েছে সিলেট কিংবা অন্য কোন স্থানের বালি ব্যবহারের। কিন্তু ঠিকাদার তা না করে, বাঁকখালী নদীর বালি ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে বিধিনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অভিযানে সাংবাদিক নাজেহালের খবর শুনে ব্যথিত। তিনি এব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক নাজেহাল সত্যি দুঃখজনক। সরকারী আইন তোয়াক্কা করে যারাই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাঁধা হবেন তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সাংবাদিক নাজেহাল ও অবৈধ বালি সিন্ডিকেটে জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ