নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের উত্তরা গণভবনে জন্ম নিয়েছে আরো একটি হরিণ শাবক। তার নাম দেয়া হয়েছে রত্না। মঙ্গলবার মধ্যরাতে গণভবনের মিনি চিড়িয়াখানার হরিণ চুড়ায় শাবকটি জন্মনেয়। এনিয়ে মোট তিনটি হরিণ শাবকের জন্মগ্রহন হল হরিণ চুড়ায়। এতে করে দিন দিন গণভবনের চিড়িয়াখানায় বাড়ছে হরিণের সংখ্যা। আর দর্শনার্থীরা আকৃষ্ট হওয়ার কারনে বাড়ছে দর্শনার্থীদেরও সংখ্যা। উত্তরা গণভবনের সহকারী ব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার জানান, রানী হলের হরিণ চূড়ায় মঙ্গলবার মধ্যে রাতে শ্যামল-শ্যামা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় হরিণ শাবক রত্না। সকালে গণভবনের কাউন্টার ইনচার্জ নূর মোহাম্মাদ খাবার দিতে গিয়ে হরিণ শাবকটি দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ এবং এনডিসি জাকির মুন্সীকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক হরিণ শাবকটির নাম রাখেন রন্তা। তবে বর্তমানে হরিণ শাবকটি সুস্থ রয়েছে। এদিকে, হরিণ শাবক দেখতে ভিড় করেছিলেন দর্শনার্থীরা।বুধবার সারা দিন গণভবনে অন্তত ১হাজার ৮০০ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে সেখানে। তবে গণভবনে যারা প্রবেশ করেছিলেন, হরিণ চূড়য়া যাননি এমন দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব কম। খায়রুল বাশার জানান, গণভবনের হরিণ চূড়ায় থাকা ৫টি হরিণের মধ্যে ৩টি নারী ও ২টি পুরুষ রয়েছে। এদের মধ্যে রাণী মহল চত্বরে থাকা শ্যামল-শ্যামা দম্পতির ঘরে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী দিনগত রাতে জন্ম নেয় একটি হরিণ শাবক। পরে সেই শাবকটির নাম দেওয়া হয় শুল্কা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই শুল্কা মারা যায়। এরপর একই বছরের মার্চের দিকে আরো একটি হরিণ শাবকের জন্ম হয়। সেটিরও নাম দেওয়া হয় শুল্কা। তিনি জানান, ২০২০সালের ১লা জানুয়ারীতে গণভবনের হরিণ চূড়ায় আরো একটি শাবকের জন্ম হয়। সেই শাবকটির নাম দেওয়া হয় স্বপ্না। সবশেষ মঙ্গলবার মধ্যে রাতে শ্যামল-শ্যামা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় রত্না। এনিয়ে উত্তরা গণভবনে শাবক ৩টি সহ মোট ৮টি হরিণ রয়েছে। নাটোরের জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ বলেন, বর্তমানে উত্তরা গণভবনে প্রচুর পরিমানে দর্শনার্থী আসছে। যাদের বেশির ভাগ বিনোদন দিচ্ছে হরিণ চূড়া। শাবকটিকে নিবিড় পরিচর্চায় রাখা হয়েছে। শাবকটিকে যাতে কেউ বিরক্ত না করতে পারে সেজন্য নিবি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ