কক্সবাজার শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী বেলাল ও ইসমাইল এখন পুলিশের জালে

এন আলম আজাদঃ
কক্সবাজার শহরের চিহ্নিত অপরাধী বেলাল ও ইসমাইলকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার মডেল পুলিশ। ধৃত ২ অপরাধীর বাড়ী শহরের সমিতি পাড়ার ফদনার ডেইলে। তারা ঐ এলাকার আমির হামজা ও ইসলামের পুত্র। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। অভিযান কালে তাদের কাছ থেকে ১৪ ইঞ্চি এলজি বন্ধুক, ১ রাউন্ড কার্তুজ সহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি ছোরা ও মানুষের মুখোশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সমূদ্রসৈকত ও শহর জুড়ে ছিনতাই সহ নানা অপরাধ করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেলাল গত ৩ বছর পূর্বে শহরের জাম্বুরমুড়ে সংগঠিত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধে মামলা রয়েছে একাধিক। ধৃত ইসমাইলও দুধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে। চিহ্নিত অপরাধী বেলাল ও ইসমাইল তাদের সুন্দরী স্ত্রীকে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট সহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড় করিয়ে পর্যটকদের নানা ভাবে হয়রানী ও প্রতারণা করে আসছিল। এছাড়াও এসব মহিলারা পর্যটকদের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে দেয় বলে পুলিশ জানায়। বোরকা পরিহিত এসব সুন্দরীরা নানা কৌশলে এবং তারা বিপদে পড়েছে অজুহাত দেখিয়ে পর্যটকদের তাদের নিকটে নিয়ে আসে। পরে তারা আগত পর্যটকদের সাথে অহেতুক দস্তাধস্তি শুরু করে। অদূরেই দাঁড়িয়ে থাকা বেলাল ও ইসমাইল ঘটনাস্থলে এসে পর্যটকদের উপর মারমুখি ও নাজাহাল শুরু করে। তাদের এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে হার মেনে অবশেষে সমস্ত কিছুই বেলাল ও ইসমাইলের কাছে সমর্পন করতে হয়। এধরণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের হন্য হয়ে খূঁজছিল। অবশেষে চিহ্নিত এই অপরাধী চক্রকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্র সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে সমুদ্রসৈকত জুড়ে স্বস্তি ফিরলেও তাদের সহযোগী স্ত্রী নামের মহিলা প্রতারকদের দ্রুত গ্রেপ্তার প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্ততি ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা হয়েছে, যার নং- জিআর- ২১০ ও ২১১/২০। পুলিশ আরো জানায়, সমুদ্রসৈকত ও শহরের চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের সহযোগী প্রতারক মহিলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তও চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ