ব্যথার ওষুধ এখন ইয়াবার বিকল্প!

 ব্যথার ওষুধ এখন ইয়াবার বিকল্প!

ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ নামে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ওষুধ। বিকল্প ইয়াবা হিসেবে ব্যবহার করা এ ওষুধের ‘জেনেটিক’ নাম ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ হলেও দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তা বিভিন্ন নামে বিক্রি করছে। সম্প্রতি এ ওষুধে আসক্ত হয়ে অনেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসলে বিষয়টা নজরে আসে চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রণ
প্রতীকী
নিউজ ডেস্কঃ
ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ নামে ব্যথা ও স্নায়ু সমস্যাজনিত ব্যথার ওষুধ। বিকল্প ইয়াবা হিসেবে ব্যবহার করা এ ওষুধের ‘জেনেটিক’ নাম ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ হলেও দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি তা বিভিন্ন নামে বিক্রি করছে। সম্প্রতি এ ওষুধে আসক্ত হয়ে অনেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসলে বিষয়টা নজরে আসে চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের। এরপর নড়েচড়ে বসে অধিদফতর। চট্টগ্রাম মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। এ সময় মাদকাসক্তদের সঙ্গে কথা বলে ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ ব্যবহারের বিষয়টা নজরে আসে।’ তিনি বলেন, ইয়াবা ক্রেজি ড্রাগ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ গ্রহণ করার প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ ইয়াবার বিপরীত। ইয়াবার বিকল্প হিসেবে কেন বিপরীত ধর্মী ওষুধকে ব্যবহার করছে তা বুঝতে পারছি না।’ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড অতিমাত্রায় ব্যবহার করলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। এ ওষুধ অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে সরাসরি কিডনি ও লিভারে অ্যাটাক করে। উচ্চ রক্ত চাপ, হার্ট অ্যাটাকসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ওষুধ সেবনের ৩২ মিনিটের মধ্যেই কার্যকারিতা শুরু করে। এ মাদক ইয়াবার মতোই সরাসরি ব্রেন থেকে কাজ করা শুরু করে। এর কার্যকারিতা থাকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যথা ও স্নায়ুসমস্যাজনিত ব্যথার ওষুধ হিসেবে বাজারে আসে নতুন জেনারেশনের এ ঔষধ। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে এ ওষুধ বাজারজাত করছে। বর্তমানে ৫০, ৭৫ এবং ১০০ মি. গ্রামের ‘ট্যাপেনটাডোল হাইড্রোক্লোরাইড’ ট্যাবলেট আকারে বাজারজাত করে আসছে কোম্পানিগুলো।
/বাংলাদেশ প্রতিদিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ