মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণের পরিবর্তে সরকারি বৃক্ষ নিধন সৈয়দপুর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জীবন্ত গাছ কাটার অভিযোগ...


মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার দেশব্যাপী বৃক্ষ রোপণের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সৈয়দপুরে সরকারি দপ্তরে মূল্যবান বৃক্ষ সাবাড় করা হয়েছে। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে। এ দপ্তরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অর্ধশত বয়সী জীবন্ত ২৫টি ফলদ ও বনজ বৃক্ষ গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ মিলেছে। এসব গাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। গত ১০ জানুয়ারী শুক্রবার মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হলেও সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক অত্যন্ত গোপনে অফিস চত্বরের ফলদ ও বনজ গাছ কেটে বিক্রি করা শুরু করেন। গত সোমবার বিকাল ৫টায় শেষ হয় গাছ কাটা। সরেজমিনে গেলে বেশ কিছু গাছের গুড়ি ও কাটা গাছের গোড়া নজরে আসে দপ্তর চত্বরে। ওই দপ্তরের আশেপাশে মূল্যবান গাছগুলো কেটে পরে তা পাচার করা হয়। এসব যাতে নজরে না আসে সেজন্য গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, গাছ নয়, গাছের ডাল কাটা হয়েছে। এ সময় কাটাগাছের গুড়ি মাটিতে রয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ভুলে ওই মূল্যবান মেহগনির গাছটি কাটা হয়েছে। জীবন্ত গাছ কাটতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিতভাবে অনুমতি নেয়া হয়নি। তবে মৌখিকভাবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী মুঠোফোনে বলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে গাছের ডাল কাটার অনুমতি দেয়া হয়েছে গাছ কাটতে নয়। মুজিববর্ষে গাছ কাটা নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা মতে মুজিববর্ষে সৈয়দপুর উপজেলায় ১ কোটি বৃক্ষ রোপণের প্রস্তুতি চলছে, সেখানে জীবন্ত গাছ কাটা একেবারেই অন্যায় কাজ হয়েছে। তবে এ নিয়ে তার দপ্তরে কোন চিঠি দেয়া হয়নি। মুজিববর্ষে অবৈধভাবে গাছ কেটে বিক্রি করা প্রসঙ্গে জানতে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। পরে সৈয়দপুর সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) পরিমল চন্দ্র সরকারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বেআইনী কিছু হলে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ