২ মহিলার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের তথ্য

২ মহিলার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের তথ্য

কারা খুন করল দুই মহিলাকে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল কুলতলি থানার পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জোড়া খুনের কিনারা করল তারা। ওই দুই মহিলা হলেন, মুস্তারি বিবি এবং আবিদা খাতুন।     শুক্রবার পিয়ালি নদীর চরে ১০০ মিটারের মধ্যে এই দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকেই খুনিদের সন্ধানে তাল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। পাশাপাশি দুই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টাও চলছিল। এই ঘটনায় শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, এসরাফিল মোল্লা ও মুসলিমা বিবি।
২ মহিলার দেহ
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কারা খুন করল দুই মহিলাকে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল কুলতলি থানার পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই জোড়া খুনের কিনারা করল তারা। ওই দুই মহিলা হলেন, মুস্তারি বিবি এবং আবিদা খাতুন।

শুক্রবার পিয়ালি নদীর চরে ১০০ মিটারের মধ্যে এই দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকেই খুনিদের সন্ধানে তাল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। পাশাপাশি দুই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টাও চলছিল। এই ঘটনায় শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন, এসরাফিল মোল্লা ও মুসলিমা বিবি। তবে মূল অভিযুক্ত মিজানুর এখনও পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, এসরাফিল মোল্লা ও মুসলিমা বিবি মূল অভিযুক্ত মিজানুরের বাবা-মা। মথুরাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মুস্তারি বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ক্যানিং থানার উত্তর বুধোখালির বাসিন্দা মিজানুর মণ্ডলের। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের দু’জনের বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। খোরপোশের টাকা নিয়ে মুস্তারির সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হতো মিজানুরের। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মুস্তারি বিবি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। গত ২৩ জানুয়ারি তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান মিজানুর। তুতো বোন আবিদাকে সঙ্গে নিয়ে মিজানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুস্তারি বিবি। অভিযোগ, তখনই ওই দু’জনকে পরিকল্পনা করে পিয়ালি নদীর ধারে ডেকে নিয়ে যান মিজানুর ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। তার পরই তাঁদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। শুক্রবার সকালে দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। 

মহিলাদের পরিচয় এবং দুটি খুনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা জানতে আশপাশের থানাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে কুলতলি থানার পুলিশ। কোনও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কি না তা নিয়েও যোগাযোগ করা হয় থানাগুলোর সঙ্গে। প্রথম দিকে তেমন কোনও সূত্র না মিললেও, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিহতদের ছবি ও পোশাক দেখে তাঁদের পরিবারের লোকেরা কুলতলি থানাতে যোগাযোগ করেন। মিজানুর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন মিজানুরের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিজানুরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ