যাত্রাতেই পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ধাক্কা

যাত্রাতেই পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ধাক্কা

দুর্ভোগ কমানোর কথা দিয়ে যাত্রা করেই সমুদ্রের চরে ধাক্কা খেয়ে আটকে বিপাকে পড়ে যায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস।’    বৃহস্পতিবার বিকালে সমুদ্রের নাজিরারটেক পয়েন্টের চরে ধাক্কা খাওয়ার কথা স্বীকার করে এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরপর গতিপথ পাল্টে সমুদ্রে কিছুদূর গিয়ে পুনরায় বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিটিএ ঘাটে ফিরে আসে জাহাজটি। কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের পরিচালক এম. হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, নাবিক গতিপথ ভুল করায় সমুদ্রের পানির নিচে জেগে ওঠা চরে জাহাজটি আটকা পড়ে।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে
ডেস্ক নিউজঃ
দুর্ভোগ কমানোর কথা দিয়ে যাত্রা করেই সমুদ্রের চরে ধাক্কা খেয়ে আটকে বিপাকে পড়ে যায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস।’ 

বৃহস্পতিবার বিকালে সমুদ্রের নাজিরারটেক পয়েন্টের চরে ধাক্কা খাওয়ার কথা স্বীকার করে এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরপর গতিপথ পাল্টে সমুদ্রে কিছুদূর গিয়ে পুনরায় বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিটিএ ঘাটে ফিরে আসে জাহাজটি।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের পরিচালক এম. হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, নাবিক গতিপথ ভুল করায় সমুদ্রের পানির নিচে জেগে ওঠা চরে জাহাজটি আটকা পড়ে। 

“এতে সজোরে ধাক্কা খাওয়ায় জাহাজে থাকা যাত্রীরা ভয় পেয়েছিল।”
এতে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্য অতিথিরা যাত্রা যাত্রা করছিলেন। 

এ বিপত্তির আগে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে জাহাজটির চলাচল উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। 

সে সময় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ বলেন, আগে পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নানা ধরণের দূর্ভোগ পোহাতে হত। দীর্ঘ সড়কপথ পাড়ি দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে জাহাজ যোগে পর্যটকদের সেন্টমার্টিন যেতে হত। 

“এখন পর্যটকদের কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চালুর মধ্য দিয়ে পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।” 

এদিকে এ ঘটনার পরও শুক্রবার সকালে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ারছড়াস্থ বাঁকখালী নদীর বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওনা দেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিআইডব্লিউটিএ এই ঘাট থেকে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ প্রতিদিন সকাল ৭টায় ছেড়ে যাওয়ার এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টায় ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। 

জাহাজটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৫৪৭ জন। ৫১০টি চেয়ার ও ১৭টি কেবিন রয়েছে। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ৯৫ কিলোমিটার সমুদ্রপথে এই জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির চেয়ার ভাড়া দুই হাজার টাকা এবং প্রথম শ্রেণির চেয়ার আড়াই হাজার টাকা ভাড়া। কেবিন ভাড়া: সিঙ্গেল কেবিন (১ জনের) পাঁচ হাজার, ডাবল (২ জনের) আট হাজার, ইকোনিমিক (২জনের) ১০ হাজার এবং ভিভিআইপি (২জনের) ১৫ হাজার টাকা। 

এছাড়া কেবিনে অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়ার টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এতে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন আসা-যাওয়া করতে পারবে। কেউ অন্য দিন আসতে চাইলে তা কর্তৃপক্ষকে টিকেট সংগ্রহর সময় জানাতে হবে।
জাহাজটিতে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বলে জানান জাহাজটির কর্তৃপক্ষ।
/bdnews24

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ