কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে জিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মহুরি পাড়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সন্তাসী ও বিভিন্ন মামলার আসামি কিছু বখাটে নারী নির্যাতন কারী যুবকের হাতে একই এলাকায় বসবাসরত মো ইসমাইল ও রৌশন আক্তারের যুবতী কন্যা ছেনু আরা। এই ঘটনার জেরে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১০ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ সনের (সংশোধিত ২০০৩)এর ৯(৩)/৩০ ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা নং ২৫/১১০৪ দায়ের করেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার চৌকস অফিসার অপারেশন মো ইয়াছিনের নেতৃত্বে এজাহার নামীয় ৪ জন আসামিদের মধ্যে ঘটনার মূলহোতা ও ১ নং আসামি মুফিজুর রহমানের ছেলে মো নাছির ও ৩ নং আসামি ছৈয়দ আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ কে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন। আটকের পর থেকে তাদের পরিবার এবং এজাহার নামীয় অপারাপর অন্যান্য আসামিরা উক্ত ধর্ষণের শিকার পরিবারটিকে বিভিন্ন ভাবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান ধর্ষণের শিকার মেয়ের মা ও মামলার বাদী রৌশন আক্তার।

তিনি জানান, এজাহারে উল্লেখকৃত এই আসামীদ্বয় মাদকসেবী, লম্পট, নারী নির্যাতনকারী, পতিতা ও ইয়াবা সহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বসবাসরত ঘটনার মূলহোতা মুফিজের ছেলে নাছির তার মেয়ে কে নানা সময় নানাভাবে বিয়ে সহ কূ প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু সে একজন বেকার, মাদকাসক্ত ও চরিত্রহীন প্রকৃতির লোক হওয়ার তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে এই নাছির ও তার দলবল নিয়ে গভীর রাতে তাদের বসবাসরত ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে এসে তাকে জোর পূর্বক বাহির করে তার যুবতীর মেয়ের উপর আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের মতো বর্বরতা চালায় এই নাছির সহ তার সাথে আসা লোকজন। সবকিছু শেষ করে তারা চলে যাওয়ায় সময় এই ঘটনা কাউকে যেন না বলি আর বললে আরো নির্যাতন জুলুম চলবে বলে হুমকি প্রর্দশন করে। তিনি আরো বলেন, আমি আইনের আশ্রয় নেওয়াতে এখন মেয়ে কে নিয়ে আরো শংকিত। না জানি কখন আবার এই হায়নার দল আমার ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে এসে আমাকে ও আমার মেয়েকে জানে মেরে ফেলে সেই চিন্তায় দিনাতিপাত করছি। 

এছাড়াও তিনি কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার ও ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামানকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তারা তড়িৎগতিতে ব্যবস্হা নেয়ায় এজাহারে নামীয় আসামি ও ঘটনার মূলহোতা ১নং আসামী মোঃ নাসির সহ ৩ নং আসামীরা আটক হয়েছে। তবে আসামীদের পরিবার পরিজনের লোকজন সহ পতিতা ও ইয়াবার বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী এবং তার দায়েরকৃত মামলার ২ ও ৪ নং আসামি খালেকুজ্জামান প্রকাশ ইয়াবা খালেক ও জাগের হোসেনদ্বয় মামলা প্রত্যাহার না করলে তাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করবে মর্মে হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। এই অসহায় পরিবারটি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সঠিক বিচার ও নিরাপত্তাসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিনীত ভাবে আবেদন জানেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ