নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেবা প্রার্থীদের দিনের পর দিন হয়রানির সাথে গুনতে হচ্ছে অবৈধ ঘুষের টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হয় না। নামজারির জন্য নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা। ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেওয়ার কথা বলে। এখানে নাটের গুরু হিসেবে রয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বা ঝাড়ুদার আরিফ তাকে টাকা না দিলে অফিসে কোন কাজ হয়না।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তহসিলদার।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ বাহারছড়ার ইউনিয়নের নামজারীর সব দায়িত্ব নেই আরিফ। আরিফ ভূমি অফিসে ঝাড়ুদার হিসেবে মাসিক মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতনে কর্মরত রয়েছে।
তার পিতার সূত্র ধরে ভূমি অফিসে আগমন হয় তার। কথিত আছে তার পিতা অফিস সহায়ক মুসলেম উদ্দিন অফিসে থাকাকালীন স্থানীয় আলমগীর গং, আমির হোছন, আবদুল মাবুদ সহ বিভিন্ন লোকজন থেকে প্রায় দের লক্ষ টাকা নিয়ে নামজারী না করে দিয়ে বদলি হয়ে যায়। তারই ছত্রছায়ায় আরিফ এখন বেপরোয়া। কামাল নামের এক ব্যাক্তির অভিযোগ একটা নামজারী করে দেওয়ার কথা বলে ৭০,০০০/- দাবী করেন। পরবর্তীতে ৫৫,০০০/- দফারফা করেন।
৪ মাস ফেরিয়ে গেলেও এখনো উক্ত খতিয়ান বুঝিয়ে দেননি। বড়ডেইল মৌজার একটা আর.এস দলিলের নামজারী দায়িত্ব ৯২ হাজার টাকা নিয়ে। অফিসের সবকিছুই এখন তার নিয়ন্ত্রনে। অধিকাংশ সময় এই আরিফ টেকনাফ উপজেলা ভূমি অফিসে ব্যয় করেন।
অফিসের ঝাড়ুদার হয়ে মাত্র ৩ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে অতচ ৩ লক্ষ টাকার বাইক চালাই সে। চলাফেরা যেন রাজার হালতে তার। এই আরিফের দুর্নীতি অনিয়ম এখন লাগাম টেনে না ধরলে আরিফ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে এমটি জানান এলাকার সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ