কলাতলীতে ছেলে-মেয়ে কর্তৃক প্রতারণা পূর্বক টাকা আত্মসাৎ ও মাকে মারধরের অভিযোগ

মোহাম্মদ সাঈদ জাফরি।। নিজ ছেলে-মেয়ে কর্তৃক প্রতারণা পূর্বক টাকা আত্মসাৎ এবং মাকে মারধরের অজিযোগ তুলেছেন আমিনা খাতুন নামে অসহায় এক মা। আমিনা খাতুন, আমিনা মোঃ ইছমাইলের স্ত্রী। লাইট হাউস পাড়া, ১২ নং ওয়ার্ড, কলাতলী, কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা। অভিযোক্তরা হলেন। খুরশিদা বেগম, পিতা- মোঃ ইছমাইল। মাতা- মমতাজ বেগম, সাং- নতুন বাহারছড়া, ২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা। মোঃ সোহেল, পিতা- ঐ, মাতা- আমিনা খাতুন, সাং- ঝিরঝির পাড়া, ১২নং ওয়ার্ড, কলাতলী, কক্সবাজার পৌরসভা। সামশুল আলম, পিতা- মোঃ ইসমাইল, মাতা- আমিনা খাতুন, সাং- সৈকত পাড়া, ১২ নং ওয়ার্ড, কলাতলী, কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার আমিনা খাতুনের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিরা সম্পর্কে তাহার পুত্র ও কন্যা হন। আসল ঘটনা হলো, তাহার ২য় স্বামী তার নামে খুরুশকুল মৌজায় ০.০৪০০ (শূন্য দশমিক শূণ্য চার শূণ্য শূণ্য) একর জমি খরিদ করে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রী করে দেন। পরবর্তীতে কক্সবাজারের কলাতলীতে বাড়ি করার জন্য উক্ত খুরুশকুল মৌজার জমি বিক্রি করার প্রয়োজন হলে উক্ত জমি বিগত ৪ জানুয়ারি বিক্রি করে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি দিয়ে নগদ ৫.০০.০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা হইতে নগদ ৮০,০০০/= (আশি হাজার) টাকা আমার নিজ খরচের কেনা রেখে দিয়ে অবশিষ্ট ৪,২০,০০০/= (চার লক্ষ নিশ হাজার) টাকা তাহার সৎ মেয়ে খুরশিদা বেগম কে ব্যাংকে জমা রাখার জন্য প্রদান করেন। তৎ পরবর্তীতে কলাতলীতে একটি ভিটা ক্রয়ের জন্য দরদাম ঠিক হলে ১নং বিবাদী তাহার সৎ মেয়ে খুরশিদা বেগমের নিকট হইতে টাকা চাইলে আজ-কাল করে কালক্ষেপণ করে। ২নং বিবাদী মোঃ সোহেল উক্ত কাজে সহযোগিতা করে এবং বর্তমানে তাকে তার বিপরীতে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ৩নং বিবাদীর সাথে ভাল সম্পর্ক করে কলাতলীস্থ ভিটা নিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার নিকট হতে নগদ ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করে। উক্ত টাকা ফেরত চাইলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও হুমকি-ধমকি দিয়ে জানে মেরে ফেলবে বলে জানায়। উক্ত ২ ও ৩নং বিবাদিগণ তার নিজের পেটের সন্তান ও ১নং বিবাদী তার ১ম স্বামীর কন্যা হয়। তারা উক্ত টাকা আজ-কাল দেবে করতে করতে টাকার লোভে পড়ে টাকা না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ মারধর করে এবং তাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। সে খুবই অসহায়, অনেক জায়গায় ঘোরে-ফিরে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। সর্বশেষে, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের পরামর্শে ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর মডেল থানা ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে বিচার প্রার্থনা করে অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাগেছে । এই ভুক্তভোগী আমিনা খাতুন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ