টেকনাফের মুদির দোকানদার কামাল মানবপাচার না করেও মামলার আসামি!

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজারের টেকনাফে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র। এদের টার্গেট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। কিছু কিছু উত্তর বঙ্গের লোকজনও। টেকনাফের উপকূলের ২০টি পয়েন্ট দিয়ে চলছে মানব পাচার। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা দালালরা এই পাচার চক্রের সদস্য। চক্রের সদস্যরা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বিভিন্ন দেশে ভালো চাকরি এবং রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ের কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানেও মামলা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুল তথ্য দেওয়ায় কিছু নিরীহ লোক মামলায় আটকে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে টেকনাফ লেংগুর বিল এলাকায়। কোন ধরনের মানবপাচারের সাথে জড়িত না থাকার পরেও মানবপাচার মামলার আসামি হলেন লেংগুর বিল এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী ওমর হামজার ছেলে মুদির দোকানদার কামাল হোসেন। সঠিক তদন্তপূর্বক ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে কামাল হোসেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি টেকনাফ এবং পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যার মাল নং ৭৬৫ /২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩। এই বিষয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শাহ আলম জানান, কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে একটি মুদির দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে, সে কোনদিন মানবপাচারের জড়িত ছিলনা। মনে হচ্ছে কোন ভুল তথ্যের কারণে আসামি হয়েছে কামাল, নীরহ কাউকে হয়রানি না করার অনুরোধ রইল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ