মহিলাকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনাকে ছিনতাইয়ের ঘটনা বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এক মহিলাকে অপহরণ করার চেষ্টার ঘটনাকে ছিনতাই এর ঘটনা বলে প্রবাহিত করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে,রাতের অপহরণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা বলে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলায় ও করা হয়।

গেল বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১:৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এক মহিলা কে একজন সিএনজি ড্রাইভার ও তিনজন যাত্রী টানা হেচড়া করার এমন দৃশ্য দেখতে পাই, লারপাড়ার বাসিন্দা নূরুন নবী, তিনি মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে সিএনজি ড্রাইভার ও বাকি তিনজন সহ নূরুন নবীকে হামলা করা হয়, এই হামলায় তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল গুশি লাথি সহ নানানভাবে মারধর করা হয়, তার অবস্থা দেখে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে গেলে, এমন অবস্থায় সিএনজি ড্রাইভার সহ অন্য তিনজন যাত্রীরা চলে যায়,পরে এই ঘটনাকে দামাচাপা দিয়ে ছিনতাই এর ঘটনা সাজিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলাও করা হয় বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। 

এই মামলায় লারপাড়া এলাকার বাসিন্দা সহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়, ঐদিন রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে সে ঘটনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার প্রত্যেকটি সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হিসেবে রয়েছে,তাই অনেকর দাবী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করেন, এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটন করার জন্য অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। 

ওইদিন রাতের ঘটনায় যারা মামলায় এজাহারভুক্ত হলেন তারা হলেন ১,নূরুম নবী ২, মোঃ ইসমাইল ৩, মোঃ সাদেক ৪, মোঃ আব্দুল গনি ৫, মনোয়ার হোছেন,তবে ওইদিন রাতে মনোয়ার হোছনের ভাই সিএনজি চালাক তিনি সরেজমিনে ছিলেন,তাকে না চিনে উল্টো তার ভাইকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে,তাদেরকে আসামি করে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন,এই মামলাটি যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে পুনরায় সত্য ঘটনাটি বেরি আনার জন্য অনুরোধ জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান কর্মচারী জানান, গেল বুধবার রাত দেড়টার দিকে লারপাড়ার বাসিন্দা নূরুন নবীর সাথে ৩-৪ জন ব্যক্তি মারামারি করা করতে দেখা যায়,পরে আমরা কয়েকজন ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঘটনাটি শেষ করে দিয়, পরে জানতে পারলাম এই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে ছিনতাই এর ঘটনা বলে একটি সদর মডেল থানায় মামলা হয়, এই মামলায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে এ ঘটনাকে অন্যভাবে প্রবাহিত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, যেন সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটন করার জন্য।

এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত নুরুন নবী জানান,গেল বুধবার রাত ১:৩০ টার দিকে আমি ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে যায়,পরে হঠাৎ একজন সিএনজি ও তিনজন যাত্রী এক মহিলার সাথে দস্তাদস্তি  হতে দেখা যায়,আমি মনে করেছিলাম,মহিলাটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে এই লোক গুলো,আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে, সাথে সাথে তিনজন ব্যক্তি আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে,আমি সয্য করতে না পরে জোরে জোরে  চিৎকার করে কাঁদতে থাকি, তবু আমাকে তারা ছেড়ে দেয় নাই, এক পর্যায়ে মানুষ জড়ো হয়ে আমাকে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়,তখন আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়,  ওইদিন রাতের হামলায় বর্তমানে আমার বাম হাত ও মাথা এবং মুখ সহ একটি চোখে আঘাত হয়, এই আঘাতে আমি নড়াচড়া করতে পারতেছি, কয়দিন  আগে শুনলাম আমাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে, এই মামলায় আমিসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়, বর্তমানে এই মামলায় একজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে জেলে প্রেরণ করেছেন, তবে আমি বলতে চাই ও দিন রাতে যে ঘটনাটি হয়েছিল তা সম্পূর্ণ বাস টার্মিনাল এলাকার প্রত্যেকটা সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে,আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা করি, এবং আমি দেশের আইন কে মেনে চলি,তাই আমার প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন থাকবে, আপনারা ঘটনাস্থলে এসে আবারো সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটন করুন।

এই বিষয় নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম এর নাম্বারে  কল দেয়া হলে, রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়ার সুযোগ হয়নি,তবে এই বক্তব্যটি পরবর্তী নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ