সবায় ঘর পায় হামরা পাই না


বিশেষ প্রতিনিধিঃ

মোরশেদা খাতুন, মুন্না, কোরবান আলী ,রাজ্জাকুল,মুরাদ ওরা এখনও ভুমিহীন। সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন এলাকায় তাদের বাড়ি। তাদের কোনো জমি ও ঘর নাই । অন্যের জমিতে ঘর বানিয়ে বসবাস করেন । তাদের ৬টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে ৫টি পূরণ হলেও একটি চাহিদার অভাব তাদের সবসময় সেটি হল বাসস্হান  নিজের একটি নিরাপদ আশ্রয় ।

মোরশেদা খাতুন বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আবাসনে থাকেন।তিনি জানান, আমার ভাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ পান আমার ঘর না থাকায় ভাইয়ের বাসায় আশ্রিতা হিসাবে  আমিও থাকি , থাকতে খুব কষ্ট হলেও থাকতে হয় । প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে আমি যদি একটি ঘর পাই তাহলে কষ্ট করে গাদাগাদি করে থাকতে হতো না ।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়রে সরকার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কোরবান আলী (৩৫) কাজ করেন খাবার হোটেলে দুই ছেলে নিয়ে ৪ জনের পরিবার বসবাস করেন অন্যের জমিতে । দিন মজুরী করে সংসার চালান একদিন  কাজ না করলে পেঠে ভাত জুটে না । কোথাও জমি কিনে বাড়ী করবে সেই সামথ্য নেই । জমির মালিক বারংবার জমি খালি করার তাগিদ দেন । কোরবান এর স্ত্রী নুরবানু(৩৩) আক্ষেপ নিয়ে জানান সবায় ঘর পায় হামরা পাই না । হামার তো কিছুই নাই , হামরা কি ঘর পামো না  ।

ডেলিভারী ম্যান মুরাদ হোসেন(৪০) প্রতিদিন দোকানে দোকানে মালামাল দিয়ে বেড়ান  শহরের চাঁদনগর এলাকায় নানির বাড়িতে । তিনি জানান বাবা মারা যাওয়ার পর মা নানার বাড়িতে চলে আসেন ছোট থেকেই নানার বাড়িতে আছি।  কিন্তু এক ঘরে ৫ জনের থাকা খুবই সমস্য আমার দুই ছেলে এক মেয়ে । মেয়ের বয়স ১৪ বছর এক ঘরে থাকার কোন পরিবেশ নাই । যে ছোট কাজ করি তাতে করে কোথাও বাসা ভাড়া বা জমি নিয়ে বাড়ি করার সামথ্য নেই । অল্প রোজগার দিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা চলাতে হয় । । প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর পেলে অনেক উপকার হতো ।

মুন্না(৩০) কাজ করেন ট্রলির লেবার হিসাবে দিন শেষে চারশত টাকা হাজিরা পান । কোন রকম করে চলে সংসার , মাথা গোজার থাই নাই থাকেন শশুর বাড়িতে । তার সঙ্গে কথা হলে জানান, আমি দিন মজুরের কাজ করি ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভালো মন্দ খেতে পারি না । থাকি শশুর বাসায় থাকতে ইচ্ছা করে না কিন্তু নিরুপায় । শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে বোতলাগাড়ীতে আবাসন এর ঘর করছে , আশ্রয়ন এর ঘরের জন্য আমি আবেন করেছি । যাচাই বাছাই করে যদি আমি ঘর পাওয়ার যোগ্য হই তাহলে আমি অনেক উপকৃত হতাম ।

এ ব্যাপারে বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের স্হানীয় বাসিন্দা মোতালেব হোসেন জানান, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ভূমিহীনদের সংখ্যা নেহাতে কম নয় । বাসস্হানের অধিকার সবার রয়েছে প্রকৃত পক্ষে যারা ভূমিহীন তাদের আবাসনের ব্যাবস্হা করলে তারা উপকৃত হবেন, তাদের হবে নিজস্ব একটি স্হায়ী ঠিকানা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ