শহরে ব্যবসায়িক পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন জহির।

পরিকল্পিত বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজার শহরের হোটেল আল আমিনের সামনে ২০ এপ্রিল বিকাল ৩:৩০ টায় জহির নামের এক ব্যক্তি কয়েক জন সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামালার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখলে পথচারীরা আহত জহির কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জহির নামের ঐ ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মধ্যম তারাবনিয়ার ছড়া রমজানুর ইসলাম রাকিবের সাথে দেখা হলে, তাদের দুইজনের মধ্যো ব্যবসায়ি লেনদেনের পাওনা টাকা খুঁজলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিবসহ কয়েকজন জহিরের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে আহত জহির জানান, মধ্যম তারাবনিয়ার ছড়ার মৃত আবু তাহেরের ছেলে রমজানুল ইসলাম রাকিবের সাথে মহেশখালী হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ ও উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং ট্যাক্স উত্তোলন বাবদ একটা ব্যবসায়ীক চুক্তি হয়।উক্ত চুক্তি অনুযায়ী রাকিবের কাছ থেকে হিসেব ৩ লক্ষ টাকা আমি পাওনা আছি। ঐ পাওনা টাকা আজকে দেবে কালকে দেবে এই রকম করে অনেক দিন যাবৎ প্রতারণা করে আচ্ছে। গত ২০ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩.৩০ঘটিকার সময় হঠাৎ আমার সাথে ঘুন গাছ তলা আল আমিন স্টোরে আমি বাজার করার মুহূর্তে রাকিবের দেখা হয়।ঐ সময় তার কাছ থেকে আমার পাওনা টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে, রাকিব হাঁকাবাকা করে ক্ষীপ্ত হয়ে আমার উপর কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করে আমাকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখলে, পথচারীরা আমাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পথচারী সহ আমার সহপাঠী শফিক সহ কয়েক জন মিলে আমাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে সদর থানায় একটা এজাহার দায়ের করেছি। দুই দিন যাবৎ বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে জানে মেরে ফেলার। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিব এর মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিক বার ফোন দেওয়া হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নেই। উল্লেখ ২১ সালের ১৩ মার্চ কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদফতরের হাতে মাদক ইয়াবা নিয়ে রমজানুল ইসলাম রাকিব গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ