শুভ জন্মদিন পুতুল

 বাংলাদেশের গর্ব সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) অত্যন্ত মেধাবী এবং চৌকষ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়। সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। এখানে উল্লেখ্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলিতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে  ‘গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম কনসোর্টিয়াম’ প্রকাশিত ১০০ সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি।সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর উদ্যোগে ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক দূত।সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সায়েমা ওয়াজেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ